সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই দক্ষিণ চিন সাগরে নৌ-মহড়া শুরু করল লালফৌজ। শুধু তাই নয়, মহড়া চলাকালীন বিতর্কিত জলরাশি থেকে বাণিজ্যিক জাহাজগুলিকে দূরে থাকার নির্দেশও দিয়েছে চিনা (China) নৌবাহিনী।
[আরও পড়ুন: প্যালেস্তাইনের দূতাবাসে ভারতীয় কূটনীতিবিদের মৃত্যু, কারণ ঘিরে বাড়ছে রহস্য]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারির ২৭ তারিখ থেকে দক্ষিণ চিন সাগরে মহড়া শুরু করেছে চিনা নৌবাহিনী। যুদ্ধকৌশল ঝালিয়ে নেওয়ার অছিলায় হাইনান প্রদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে জলরাশিতে আস্ফালন চালাচ্ছে লালফৌজের যুদ্ধজাহাজগুলির। গত সপ্তাহে হাইনান প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে মার্চের ১৫ তারিখ পর্যন্ত নৌ-মহড়া চলবে। ওই সময় পর্যন্ত বাণিজ্যিক জাহাজগুলিকে অন্যপথে সফর করার আবেদন জানানো হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, যে এলাকায় চিন নৌ-মহড়া চালাচ্ছে তা ভিয়েতনামের ‘এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোন’ বা বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকার মধ্যে পড়ে। ফলে তা একপ্রকার আগ্রাসন বলেই মনে করছে হ্যানয়।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চিন সাগরের প্রায় গোটাটাই নিজেদের বলে দাবি করে চিন। ২০২০ সালে দক্ষিণ চিন সাগরের বিতর্কিত প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের সর্ববৃহৎ দ্বীপ উডি আইল্যান্ডে চিনা ফৌজের যুদ্ধবিমান মোতায়েনের জেরে বেজিং-হ্যানয় উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তার আগে ২০১৪ সালে চিনের একটি খনিজ উত্তোলনকারী জাহাজ ভিয়েতনামের জলসীমায় ঢুকে খনন শুরু করায় দু’দেশের মধ্যে সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে আতঙ্কিত বিশ্ব। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তৈরি হয়েছে নতুন সমীকরণ। সুযোগ বুঝে ঘোলা জলে মাছ ধরতে অর্থাৎ তাইওয়ান দখল করার চেষ্টা চালাতে পারে চিন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে দক্ষিণ চিন সাগরে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টাও করতে পারে কমিউনিস্ট দেশটি। এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি চতুর্দেশীয় অক্ষ (QUAD) স্পষ্ট জানিয়েছে বেজিং আগ্রাসন চালালে তা মেনে নেওয়া হবে না। গতসপ্তাহে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা চিনা আগ্রাসনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।