সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে কড়া ভাষায় আমেরিকাকে সতর্ক করল চিন। বক্তব্য সাফ। বেজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটন যুদ্ধে জড়ালে, তার ফল হবে মারাত্মক। বিপর্যয়ের মুখে পড়বে গোটা পৃথিবী। শুধু তাই নয়। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়েই ফেং আরও দাবি করেন, তাইওয়ান চিনের অঙ্গ। এই বিষয়ে কেউ নাক গলানোর চেষ্টা করলে তা রুখতে চিন শুধু লড়বে না। ‘সেই লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়বে’!
[জোর করে গোমাংস খাওয়ানোর অভিযোগ, সৌদি আরবে বিপাকে হিন্দু যুবক]
সিঙ্গাপুরের সাংগ্রিলা বৈঠকে সম্প্রতি এই মন্তব্য করেন ওয়েই। ২০১১ সালের পর এই প্রথম এশিয়ার অন্যতম প্রধান এই প্রতিরক্ষা সম্মেলনে বক্তব্য রাখলেন চিনের কোনও প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “বেজিং যা পদক্ষেপ করবে, সবটাই আত্মরক্ষার্থে। চিন কখনও প্রথমে আক্রমণ করবে না। কিন্তু কেউ আক্রমণ করলে ছেড়েও দেবে না।” ওয়েই-এর হুঁশিয়ারি, আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে বিপর্যয় ঘটবে। আর তার ফল শুধুমাত্র এই দুই দেশ নয়। গোটা পৃথিবীকে ভুগতে হবে।” প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে সমর্থন করলেও এর সঙ্গে আমেরিকার সরাসরি কোনও যোগসূত্র নেই। যদিও তাইওয়ানের অস্ত্রভাণ্ডারের অধিকাংশই আসে আমেরিকা থেকে। শনিবার এই সাংগ্রিলা বৈঠকেই মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব প্যাট্রিক শানাহান জানিয়েছিলেন, এশিয়ায় চিনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমেরিকা আর আগের মতো সতর্ক হয়ে চলবে না। তারই পালটা প্রতিক্রিয়া রবিবার দেন ওয়েই। বলেন, “চিনকে দ্বিধাবিভক্ত করার কোনও চেষ্টা সফল হবে না। তাইওয়ান নিয়ে বহিরাগত কারও হস্তক্ষেপ আখেরে ব্যর্থতারই মুখে পড়বে। কেউ যদি তাইওয়ানকে চিনের থেকে আলাদা করার চেষ্টা করে, তাহলে চিনা সেনাবাহিনীর হাতে তা কড়া হাতে প্রতিহত করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। আমেরিকাকে ভাঙা যদি অসম্ভব হয়, চিনও তাই।”
উল্লেখ্য, চিন ও আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধ বাধলে এর ফল ভোগ করতে হবে ভারত-সহ গোটা বিশ্বকে| ফলে সদ্য বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব এস জয়শংকরের কাজ আরও কঠিন হয়ে উঠল বলেই মনে করা হচ্ছে| ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের একাধিপত্য আটকাতে চেষ্টা চালাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। এক দিকে আমেরিকা, অন্য দিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে পাশে নিয়ে অনেক দিন থেকেই চাপ বাড়াচ্ছে ভারত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মালাবার নৌ-মহড়া ছাড়া হাতেকলমে সমুদ্র সক্রিয়তা কিছু দেখা যায়নি সাউথ ব্লকের পক্ষ থেকে। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের দাবি, এ নিয়ে ইতিমধ্যেই কৌশলগত সহযোগিতার দরজা খোলা হয়েছে আমেরিকার সঙ্গে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র জানাচ্ছে, লাম্বার জানিয়েছেন, এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ উল্লেখ্য, মাঝে মাঝেই দক্ষিণ চিন সাগরে মুখোমুখি চলে আসে চিন ও মার্কিন নৌসেনার যুদ্ধ জাহাজ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দেশের মধ্যে অনেকদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছে৷ কখনও চিনের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে আমেরিকা৷ চিনের এই ব্যবহারকে অপেশাদার কার্যক্রম বলে সমালোচনা করছে তাঁরা৷ পালটা তোপ দাগছে চিনও৷ তাঁদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করেছে আমেরিকা৷
[ইসলামাবাদের ভারতীয় দূতাবাসে ইফতার পার্টিতে হেনস্তা অতিথিদের]
The post তাইওয়ান নিয়ে হুঙ্কার ‘ড্রাগনের’, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ঘনাল যুদ্ধের মেঘ appeared first on Sangbad Pratidin.