সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের (China) সঙ্গে মিশে যাবে তাইওয়ান। নতুন বছরের শুরুর ভাষণে এই কথা সাফ জানিয়ে দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর মতে, একই আদর্শ মাথায় রেখে একীভূত হয়ে যাবে তাইওয়ান (Taiwan) প্রণালীর দুই প্রান্ত। উল্লেখ্য, আগামী ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানে সাধারণ নির্বাচন। জিনপিং (Xi Jinping) প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, এই নির্বাচনেই ঠিক হয়ে যাবে তাইওয়ান যুদ্ধ চায় না শান্তি। গতবছরও একাধিকবার তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে চিন।
২০২৪ এর শুরুতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন চিনা প্রেসিডেন্ট। জিনপিং বলেন, “চিন অবশ্যই একত্রিত হয়ে যাবে। তাইওয়ান প্রণালীর দুই প্রান্তে বসবাসকারী চিনারা সকলে এক সূত্রে বাঁধা পড়বে।” প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের পরেই ফের প্রশ্ন উঠেছে আন্তর্জাতিক মহলে। নতুন বছরে কি তাইওয়ানের বিরুদ্ধে আবারও খড়গহস্ত হবে চিন? তাইওয়ানের সাধারণ নির্বাচনকেও কি প্রভাবিত করবে জিনপিং প্রশাসন? উল্লেখ্য, তাইওয়ানের নির্বাচনের অন্যতম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়েছেন চিনপন্থী কুয়োমিনতাং দলের হৌ ইয়ু-ইহ।
[আরও পড়ুন: বহুজাতিক সংস্থাকে টেক্কা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর, সরস মেলায় বিপুল লক্ষ্মীলাভ নমিতাদের]
প্রসঙ্গত, শনিবারই চিনের তাইওয়ান বিষয়ক মন্ত্রকের মুখপাত্র তোপ দেগেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী উইলিয়াম লাইকে। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, উইলিয়াম লাই আসলে এক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। প্রেসিডেন্টে সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে মিলে তিনি চিনকে উসকানি দিচ্ছেন যেন তাইওয়ানের উপরে হামলা হয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ধ্বংস করাই তাঁর কাজ। তাইওয়ান প্রণালীতে ভয়ংকর যুদ্ধ শুরু হতে পারে লাইয়ের কারণে।
প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেট চলাকালীন তাইওয়ানকে স্বাধীন দেশ হিসাবে তুলে ধরেন লাই। তাঁর মতে, তাইওয়ান প্রণালী এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য চিনের সঙ্গে আলোচনায় রাজি। কিন্তু চিনের থেকে স্বাধীনতা অর্জন করার কোনও মানেই হয় না, কারণ তাইওয়ান ইতিমধ্যেই স্বাধীন। তার পরেই লাইকে তোপ দাগা শুরু করেছে জিনপিং প্রশাসন।