সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা ভাইরাস। সিঙ্গাপুরে নতুন করে কোভিড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জুন মাসে সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ হতে পারে বলে আশঙ্কা। এমনই এক পরিস্থিতিতে চিন-সহ (China) গোটা বিশ্বই প্রস্তুত হচ্ছে পরবর্তী বিশ্বব্যাপী অতিমারীর জন্য! বেজিংয়ের ন্যাশনাল মেডিক্যাল সেন্টার ফর ইনফেকশিয়াস ডিজিজের প্রধান ড. ঝ্যাং ওয়েনহং জানিয়েছেন, তাঁরা 'যদি' নয়, 'কবে' নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন। অর্থাৎ তাঁর মন্তব্য থেকে পরিষ্কার, ফের নতুন কোনও অতিমারী প্রায় অবধারিত।
কোভিড-১৯ ভাইরাসের (COVID-19) বিরুদ্ধে চিনের লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ঝ্যাং। এই মুহূর্তে তিনি ব্যস্ত জলবায়ু পরিবর্তন ও সংক্রামক রোগের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণায়। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''সাম্প্রতিক করোনা অতিমারীর পর এবার গোটা বিশ্বই প্রস্তুতি নিচ্ছে পরবর্তী অতিমারীর (Pandemic)।'' তিনি জানাচ্ছেন, সব ধরনের সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভেক্টরবাহিত অসুখ যথা এনসেফেলাইটিস ও লাইমে যেভাবে সম্প্রতি আমেরিকায় ছড়িয়েছে কিংবা চিনে ছড়িয়েছে ম্যালেরিয়া, তা থেকে 'সিঁদুরে মেঘ' খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা।
[আরও পড়ুন: পুণেয় দুর্টনার রাতে ৪৮ হাজারের বিল বারে! ২৫ বছর বয়স অবধি ড্রাইভিংয়ে নিষেধাজ্ঞা নাবালকের]
প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা WHO আগেই ম্যালেরিয়ার মতো অসুখ নিয়ে সতর্ক করেছে। এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ইস্যুর কোভিডের মতো অতিমারী সৃষ্টির ক্ষমতা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। সেই কথাই যেন শোনা গেল ঝ্যাংয়ের গলাতেও।
অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও 'জার্নাল অফ জিওফিজিক্যাল রিসার্চ: অ্যাটমস্ফিয়ার ইন ২০২০' জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র। সেখানেই ঝ্যাংয়ের নেতৃত্বাধীন গবেষক দল জানিয়েছিল, কীভাবে সমুদ্রতলের উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে কীভাবে তা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের 'আধার' হয়ে উঠছে।