সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপহরণ তো দূর অস্ত, ঘটনা সম্পর্কে অবগতই নয় চিন। অরুণাচলের কিশোর অপহরণের ঘটনা নিয়ে এমনই সাফাই দিল চিনা বিদেশ মন্ত্রক (China’s Foreign Ministry)। মঙ্গলবার ভারত-চিন সীমান্তের অরুণাচলের (Arunachal Pradesh)আপার সিয়াং এলাকা থেকে চিন সেনার হাতে অপহৃত হয় বছর সতেরোর এক কিশোর। এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় সাংসদ তাপির গাঁও। অল্পের জন্য চিন সেনার হাত থেকে রক্ষা পায় কিশোরের বন্ধু। এ নিয়ে দিনভর ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। রাতের দিকে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে জানান, ”বিষয়টি সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, মিরম তারন (Miram Taron) নামের ওই ১৭ বছরের কিশোর মঙ্গলবার তার এক বন্ধুর সঙ্গে ভারত-চিন সীমান্তের লুংটা জর এলাকায় শিকারে গিয়েছিল। তখনই চিনা সেনা তাঁকে অপহরণ করে। মিরমের বন্ধু জনি ইয়াইং অল্পের জন্য চিনা সেনার হাত থেকে রক্ষা পায়। জনিই বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আনে। বুধবার রাতে স্থানীয় সাংসদ তাপির গাঁও একের পর এক টুইট করে এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনেন। তাঁর অনুরোধ, দ্রুত ভারতীয় এজেন্সিগুলি সক্রিয় হয়ে মিরম তারনকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক।
[আরও পড়ুন: ওমিক্রন থেকে ‘মুক্তি’! ব্রিটেনে থাকছে না বিধিনিষেধ, বাধ্যতামূলক নয় মাস্কও, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর]
এরপরই কেন্দ্রের নির্দেশে তৎপর হয়ে ওঠে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। চিনের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে আবেদন জানানো হয়, ওই কিশোরকে খুঁজে বের করে প্রোটোকল অনুযায়ী তাকে ভারতে ফেরানো হোক। রাতে তারই জবাব দিতে গিয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “বিষয়টা নিয়ে জানি না কিছু। চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি সবরকম আইনকানুন মেনে সীমান্ত পাহারা দেয়। কোনও অনুপ্রবেশ দেখলে তা রুখে দেয়।” এরপর তাঁর দাবি, ভারতের তরফে বিষয়টি জানানোর পর নাকি তাঁরা চিন সেনার সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য চান। তাতে যতটুকু খবর মিলেছে, তা খানিকটা এরকম – এক কিশোর ঘাসপাতা কুড়োতে সীমান্তের ওদিকে ঘোরাঘুরি করছিল, কিন্তু পথ ভুলে সে অন্যদিকে চলে গিয়েছে। চিনের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের নির্যাতন থেকে আমাদের বাঁচান, মোদিকে কাতর আরজি PoK কাশ্মীরের বাসিন্দার]
এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসেও একইভাবে আপার অরুণাচলের সুবনসিরি এলাকা থেকে পাঁচ যুবককে অপহরণ করে চিনা সেনা। পরে অবশ্য তাঁদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এবার তারনের অপহরণের ঘটনায় চিনের এই বিবৃতির পর কূটনৈতিক চাপ আরও কতটা বাড়ায় ভারত, সেটাই দেখার।