সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত প্যাংগং হ্রদে (Pangong Lake) যে চিন (China) সেতু তৈরি করছে, তা আগেই জানা গিয়েছিল। এবার প্রকাশ্যে এল সেতু নির্মাণের উপগ্রহ চিত্র। ছবি থেকে স্পষ্ট, নির্মাণ কাজ অনেকটাই সেরে ফেলেছে বেজিং। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই সেতুর সুবিধা নিয়ে পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) চিন আগ্রাসন বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দিল্লি।
১৬ জানুয়ারিতে তোলা উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে নির্মাণকর্মীরা বড়সড় ক্রেনের সাহায্যে সেতুর থামের ওপরে কংক্রিটের স্ল্যাব বসানোর কাজ করছেন। ভারত সীমান্তের প্যাংগং হ্রদের ওপরে ৪০০ মিটার দীর্ঘ সেতু তৈরি করছে চিন। প্রস্থ হচ্ছে ৮ মিটার। সেতুটির একটি প্রান্ত শেষ হচ্ছে লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনা ছাউনির খুব কাছে। তবে সেতুটি নির্মাণ হলে লাদাখ সীমান্তের নিকটবর্তী চিনের রুটোগের (Rutog) সঙ্গে দ্রুত সংযোগ তৈরি করতে পারবে চিনা সেনা। যেখানে রয়েছে মূল সেনা ঘাঁটি। বর্তমানে রুটোগে পৌঁছতে ঘুর পথে ২০০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে হয়। সেতু নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে তা ১৫০ কিলোমিটারে কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ডোকলামের কাছে ভুটানের জমিতে দু’টি গ্রাম বানিয়েছে চিন! উপগ্রহের ছবিতে মিলল প্রমাণ]
এভাবে প্যাংগং হ্রদে চিনের সেতু নির্মাণ নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে খুব দ্রুত ভারত সীমান্তে সেনাবাহিনী ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র এনে ফেলতে পারবে লাল সেনা। এই বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, পুর বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে। এক বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, “যেখানে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে, ওই এলাকা গত ৬০ বছর ধরে বেআইনি ভাবে দখল করে রেখেছে চিন। এই ধরনের বেআইনি কাজকে ভারত মেনে নেবে না।”
লাদাখের যে জায়গায় চিন এই সেতু তৈরি করছে, সেটি ১৯৫৮ সাল থেকে চিনের দখলে রয়েছে। যদিও ভারতের বক্তব্য, এই সেতু নির্মাণ বেআইনি। যেহেতু চিনা সীমান্তের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের খুব কাছেই ওই সেতু।
[আরও পড়ুন: ১৩ ঘণ্টার বৈঠকেও অধরা রফাসূত্র, লাদাখে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারে রাজি নয় চিন]
প্রসঙ্গত, ক’ দিন আগেই ভুটানের (Bhutan) জমি দখল করে ডোকলামের খুব কাছেই দু’টি আস্ত গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে বেজিং। কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবিতে সেই দৃশ্য পরিষ্কার দেখা গিয়েছে বলে দাবি করে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম।