সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Corona) অতিমারীর সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। ওষুধ বা অন্য সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছে সাধ্যমতো। কিন্তু যে দেশ থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর জোরালো অভিযোগ উঠেছে সেই চিন (China) প্রয়োজনের সয়ম পণ্যবাহী বিমান যাতায়াত বন্ধ করে কার্যত বিপদে ফেলল ভারতকে। যদিও এটি সাহায্য নয় বাণিজ্যই ছিল তবুও করোনার কারণ দেখিয়ে অক্সিজেন উৎপাদন সামগ্রী নিয়ে আসার কার্গো বিমান যাতায়াত বন্ধ করে দিল ড্রাগনের দেশ।
চিনের সরকারি বিমান সংস্থা সিচুয়ান এয়ারলাইন্স আগামী ১৫ দিন ভারতে কোনও পণ্যবাহী বিমান পাঠাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এই বিমানগুলিতে করে তরল অক্সিজেন তৈরির নানা সামগ্রী আসার কথা ছিল। এই বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ভারত এবং চিন দু’ তরফের এজেন্টরাই চিনা সরকারে এমন সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছে। চিন মোট ৬টি রুটিরে কার্গো উড়ান বাতিল করেছে। তার মধ্যে জিয়ান-দিল্লি রুটও রয়েছে। চিনের তরফে জানানো হয়েছে, ১৫ দিন পর আবার পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হবে।
[আরও পড়ুন: সংকটে দেশবাসী, কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের দাম কমানোর আরজি জানাল কেন্দ্র]
যেখানে আমেরিকা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করতে সাহায্য করছে সেখানে চিনের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তে সংশ্লিষ্ট সব মহলই হতবাক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার চূড়ান্ত সংক্রমণের সময়েও এক দেশ থেকে অন্য দেশে কার্গো বিমান যাতায়াত করেছিল। এমনকী চিনেও সাহায্য পৌঁছেছিল ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ থেকে। তখন পরিস্থিতি অনেকটা নতুন ছিল। এখন প্রকোপ বেশি হলেও তার মোকাবিলার পথ অনেকখানি জানা। সেই জায়গায় চিনের এমন সিদ্ধান্তের পিছনে আসল উদ্দেশ কী তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের ফেরাচ্ছে সেনাবাহিনী]
সাংহাইয়ে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আমদানি রপ্তানি কোম্পানি সিনো গ্লোবাল লজিস্টিক্সের এক উচ্চপদস্থ কর্তা সিদ্ধার্থ সিনহা আবার জানিয়েছেন, চিন রপ্তানি যোগ্য বিভিন্ন পণ্যের দাম হঠাৎই ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে কার্গো ভাড়াও প্রায় ২০ শতাংশ অতিরিক্ত নিচ্ছে। প্রসঙ্গত করোনার অতিমারীর সময় গোটা বিশ্বের অর্থনীতি যখন তলানিতে ঠেকেছিল, সেই সময়েও নিজেদের সম্পদ বাড়িয়েছিল চিন।