সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হঠাৎই প্রতিবেশী দেশগুলির প্রতি ‘নির্লজ্জ আগ্রাসন’ দেখাতে শুরু করেছে চিন (China)। এর মধ্যে ভারত যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলও। জাপানে অনুষ্ঠিত QUAD মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকের শেষে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওয়ের সঙ্গে থাকা সেদেশের এক সিনিয়র প্রশাসনিক কর্তা এভাবেই আক্রমণ করলেন চিনকে। গত দু’দিন ধরে জাপানের টোকিওয় অনুষ্ঠিত হচ্ছে QUAD মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠক। ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা মিলে তৈরি হয়েছে এই গোষ্ঠী। এই বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল দক্ষিণ চিন সাগরে চিনা আগ্রাসন।
করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর এই প্রথম এই দেশগুলির প্রতিনিধিরা কোনও বৈঠকে মিলিত হলেন। লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তরেখার পাশাপাশি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, দক্ষিণ চিন সাগরেও চিনের আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বুধবার ওই মার্কিন প্রশাসনিক কর্তা সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলির প্রতি চিনের আচমকা এমন আগ্রাসন যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়।
[আরও পড়ুন: বিশ্বের ১০ শতাংশ মানুষই করোনা আক্রান্ত! ভয়াবহ আশঙ্কার কথা শোনাল WHO]
লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘‘একটা বিষয়েই এসব ঘটেছে। আর তা হল ওই অঞ্চলে চিনা সরকারের নির্লজ্জ আগ্রাসন। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও এর পশ্চিম সীমান্তেও এমনই হয়েছে। এই সব অঞ্চলে এমন কখনওই হয়নি, যা এখন হচ্ছে। আর এসবই ঘটছে ওই আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায়।’’ মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও মঙ্গলবার চিনকে আক্রমণ করে জানান, প্রবল ক্ষমতার লোভে চিন দমন পীড়ন শুরু করেছে। চিনের এই ক্ষমতার আস্ফালন ও তেজ কমানোই যে তাঁদের আসল উদ্দেশ্য।
[আরও পড়ুন: ইমরানের নেতৃত্বে ভুল পথে এগোচ্ছে দেশ, বলছেন পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ নাগরিক]
মঙ্গলবারই মন্ত্রীগোষ্ঠীর যৌথ বৈঠকের আগে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইওশিহিদে সুগার সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেছেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তাঁদের সাথেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন বিদেশমন্ত্রী।