সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ান উপত্যকায় ধাক্কা খেয়ে নেপালে (Nepal) ফের কলকাঠি নাড়ছে চিন (China)। এবার পড়শি দেশটির রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারির সঙ্গে গোপনে বৈঠক সারলেন নেপালে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত হউ ইয়ানকি। শুধু তাই নয়, দেশের শাসকদল ‘নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি’র অন্যতম শীর্ষনেতা মাধব কুমার নেপাল-সহ একাধিক শীর্ষস্তরের আমলার সঙ্গেও আলোচনা চালিয়েছেন চিনা রাষ্ট্রদূত বলে খবর। এই গোটা ঘটনাচক্রের উপর কড়া নজর রাখছে ভারত।
[আরও পড়ুন: ‘প্রচণ্ড’ বিপাকে প্রধানমন্ত্রী ওলি, নেপালে তুঙ্গে ক্ষমতার লড়াই]
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রটোকল ভেঙে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারির সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন চিনের রাষ্ট্রদূত হউ ইয়ানকি। নিয়মমাফিক এমন বৈঠক সংশ্লিষ্ট দেশের বিদেশমন্ত্রকের অধিকারিকদের উপস্থিতিতে হয়। কিন্তু ওই বৈঠকে বিদেশমন্ত্রকের কাউকে থাকতে দেওয়া হয়নি। এনিয়ে রীতিমতো অভিযোগ জানিয়েছেন পড়শি দেশটির বিদেশমন্ত্রকের আমলারা। শুধু তাই নয়, মাধব নেপালের সঙ্গে চিনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের কথাও গোপন রাখা হয়। নেপালের বিদেশমন্ত্রকের ‘ফরেন রিলেশন ডিপার্টমেন্টে’র ডেপুটি চিফ বিষ্ণু রিজাল বলেন, “এই বৈঠক নিয়ে আমি কিছু জানি না। তবে চিনা প্রটোকল মতে শীর্ষ স্তরের অধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর অন্য অধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন রাষ্ট্রদূত।” সরাসরি কিছু না বললেও, তাঁর বয়ানে স্পষ্ট যে বিদেশমন্ত্রককে বৈঠকের কথা না জানানোয় রীতিমতো ক্ষুব্ধ অমলারা।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির মসনদ বাঁচাতেই আসরে নেমেছে চিন। নেপালের শাসকদলের মধ্যে কলহ মিটিয়ে ‘চিনপন্থী’ ওলিকেই আসনে রাখতে মরিয়া চিন। তাই মাধব নেপালের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন চিনা রাষ্ট্রদূত। উল্লেখ্য, জাতীয়তাবাদের এককালের বন্ধু থেকে বর্তমানের বিক্ষুব্ধ শিবিরের প্রধান সেনাপতি পুষ্পকমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ডের সঙ্গে কিছুতেই বনিবনা হচ্ছে না তাঁর। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে ইস্তফা দিতে হলে শাসক দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টিকে (NCP) দু’টুকরো করে ফেলার হুঁশিয়ারিও দিয়ে ফেলেছেন ওলি। শনিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে ওলি অভিযোগ করেন, ভারতের (India) ষড়যন্ত্রে শামিল হয়ে দলেরই একাংশ তাঁকে তাঁকে পদচ্যুত করার চেষ্টা করছে। প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারিকেও সরানোর চেষ্টা করছে এই শক্তি। ওলির মন্তব্যের পরে শাসক দলে ওলি বিরোধী তিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ড, মাধব নেপাল এবং ঝালনাথ খানাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। তাঁকে ইমপিচ করার কোনও কর্মসূচি নেই বলে জানান তাঁরা। রাষ্ট্রপতি যেন ওলির পাশে না দাঁড়ান। সব মিলিয়ে নেপালে ক্ষমতার লড়াই তুঙ্গে।
[আরও পড়ুন: চিনকে ধাক্কা দিয়ে এবার দলাই লামাকে ‘স্বাগত’ জানাল তাইওয়ান]
The post গালওয়ানে ধাক্কা খেয়ে ‘নেপালি অস্ত্রে’ শান দিচ্ছে চিন, নজর রাখছে দিল্লি appeared first on Sangbad Pratidin.