সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংঘাতের সম্ভাবনা উসকে এবার তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে সফর চিনা নৌবহরের। সোমবার চিন জানিয়েছে, মোট পাঁচটি যুদ্ধজাহাজের ওই এয়ারক্র্যাফট কেরিয়ার গ্রুপের নেতৃত্বে ছিল যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ‘সানডং’। রবিবার ওই নৌবহর তাইওয়ান প্রণালী পার করে।
[আরও পড়ুন: ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, ভুয়ো যোগ্যতায় বিমান ওড়ানোয় বাতিল ৫০ পাইলটের লাইসেন্স]
স্বশাসিত গণতান্ত্রিক দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে বরাবর নিজের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন। তাইপেই কবজা করতে প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেও হুঙ্কার দিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এহেন পরিস্থিতিতে তাইওয়ান প্রণালীতে চিনা নৌবহরের কার্যকলাপে যুদ্ধের মেঘ ঘনিয়েছে ওই অঞ্চলে। যদিও চিনের দাবি, দক্ষিণ চিন সাগরে মহড়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ‘সানডং’ কেরিয়ার গ্রুপ। এদিকে, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার চিনের উত্তরে ডালিয়ান বন্দর থেকে রওনা দিয়েছে চিনা নৌবহর। তাদের গতিবিধির উওর নজর রাখতে ছয়টি রণতরী ও আটটি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয় তাইপেইর তরফে। এক বিবৃতিতে তাইওয়ান সাফ জানায়, মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে সক্ষম দেশের সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত, চিনা নৌবহরের একদিন আগেই ওই এলকা দিয়ে পার হয়েছে মার্কিন নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ। চিন ও তাইওয়ানের মধ্যে বয়ে যাওয়া বিস্তীর্ণ জলরাশি কেই বলা হয় তাইওয়ান প্রণালী (Taiwan Strait) বা ফরমোসা প্রণালী। ১৮০ কিলোমিটার চওড়া এই প্রণালী বর্তমানে দক্ষিণ চিন সাগরের অংশ। পূর্ব চিন সাগর সঙ্গে উত্তরের সংযোগ ঘটিয়েছে তাইওয়ান প্রণালী।
উল্লেখ্য, আগ্রাসী চিনকে (China) রুখে দিতে নয়া সাবমেরিন বাহিনী তৈরি করার পরিকল্প হাতে নিয়েছে তাইওয়ান (Taiwan)। গত মাসে এমনটাই জানিয়েছিলেন গণতান্ত্রিক দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। এই কাজে তাইপেইকে মদত দেবে আমেরিকা। লালফৌজের হামলা ঠেকাতে সামরিক বাহিনীকে অত্যাধুনিক হাতিয়ারে সাজিয়ে তুলছে তাইওয়ান। দ্বীপরাষ্ট্র হওয়ার সুবাদে সমুদ্রেই চিনকে রুখে দিতে এবার দেশেই অত্যাধুনিক সাবমেরিন বাহিনী তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। বর্তমানে তাইওয়ানের কাছে যে ডুবোজাহাজগুলি আছে সেগুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলের। তাই সাবমেরিন বাহিনীর আধুনিকীকরণে মন দিয়েছে দেশটি।