সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিমের দেশ থেকে হাওয়ায় ভেসে আসছে করোনার জীবাণু! তাই নাগরিকদের জানলা বন্ধ করার নিদান দিয়েছে চিনের একটি শহর। শুনতে অবাক লাগলেও উত্তর কোরিয়া সীমান্ত সংলগ্ন চিনের দাংদং শহরে এই ফরমান জারি হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ায় (North Korea) করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান রীতিমতো কাঁপুনি ধরাচ্ছে। সপ্তাহ মে মাসে সেদেশে করোনার প্রথম কেস প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু তারপর থেকে হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। কোরিয়ায় এই মুহূর্তে অন্তত ৩০ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। বলে রাখা ভাল, ২০২০ সালে গোটা বিশ্বে করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকার সময় দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় কিম সরকার। কিন্তু তবুও সংক্রমণ ঠেকানো যায়নি বলে দাবি। আসান ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের এক গবেষক গো মিয়ং হিউন জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও চিন থেকে উত্তর কোরিয়ায় করোনার সংক্রমণ ঘটেছে। এই কারণে সিওলের উপর ক্ষুব্ধ কিম ভয়াবহ বদলার কথা ভাবছেন।
[আরও পড়ুন: পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে, ভারতকে আশ্বাস তালিবানের]
এহেন পরিস্থিতিতে উলটে উত্তর কোরিয়া থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পরতে পারে বলে আশঙ্কা করছে চিন (China)। তাই সীমান্তবর্তী দাংদং শহরে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শুরু দিকে শহরে সেই অর্থে সংক্রমণ ছড়ায়নি। করনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকটাই সাফল্য পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি ফের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগ বড়াচ্ছে। তবে এই নতুন করে হওয়া সংক্রমণের উৎস নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, উত্তর কোরিয়া থেকে কোভিড ছড়িয়ে পড়ছে। হওয়ায় ভেসে জীবাণু এপারে আসছে। তাই সীমান্তবর্তী ইয়ালু নদীর ধরে থাকা নাগরিকদের জানলা বন্ধ করএ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, জানলা বন্ধ করার নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন বাতাসে কোভিড ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই। ইউনিভার্সিটি অফ হংকংয়ের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লিও পুন বলেন, “এতদূর পর্যন্ত কোভিডের জীবাণু উড়ে আসতে পারে, এমনটা আগে কখনও হয়েছে বলে শুনিনি।” আরেক বিশেষজ্ঞের মতে। জিম বা ক্লাসরুমের মতো একটি বদ্ধ ঘরে হওয়ায় করোনা ছড়াতে পারে। তবে গ্রামের পর গ্রাম পর হয়ে সেই জীবাণু সংক্রমণ ঘটাবে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।