সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুঙ্গে পৌঁছেছে চিন ও কানাডার মধ্যে চলা ঠান্ডা লড়াই। সোমবার এক চিনা কূটনীতিককে দেশ থেকে বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। ওটাওয়ার এহেন পদক্ষেপের পালটা দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বেজিং।
রয়টার্স সূত্রে খবর, টরন্টোর ঝাউ ওয়েই নামের এক চিনা কূটনীতিককে দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে কানাডা। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বেশকিছু দিন ধরেই ঝাউ ওয়েইর উপর নজর রাখছিল। গোয়েন্দাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেজিংয়ের নির্দেশে কানাডার এক আইনপ্রণেতাকে নিশানা করছিলেন ঝাউ। কারণ, তিনি চিনের উইঘুর মুসলিমদের উপর চলা নিপীড়নের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।
এই বিষয়ে কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জলি অত্যন্ত কড়া ভাষায় চিনকে বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ কখনওই মেনে নেওয়া হবে না। যে কোনও মূল্যে গণতন্ত্র রক্ষা করতে আমরা বদ্ধপরিকর।” মেলানি আরও বলেন, “অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ করলে তাঁদের দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে।”
[আরও পড়ুন: শিয়রে শমন চিন! আমেরিকা থেকে বিপুল অস্ত্র কিনছে তাইওয়ান]
এদিকে, কানাডার এহেন পদক্ষেপের পালটা দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বেজিং। উল্লেখ্য, উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে একাধিকবার মুখ পুড়েছে চিনের। বিশ্লেষকদের মতে, তাই কানাডার ওই প্রতিবাদী আইনপ্রণেতাকে নিশানা করে বার্তা দিয়েছে বেজিং। কিন্তু কানাডার পালটা মারে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, চিনে (China) সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরেই সরব আন্তর্জাতিক মহল। যদিও চিন এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু বারবারই বেজিংয়ের নানা আপত্তিকে উড়িয়ে জোরাল হয়েছে উইঘুরদের দুরবস্থার দাবি। ২০০৯ সালে শিনজিয়াং প্রদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা হওয়ার পর থেকেই উইঘুর মুসলিমদের উপর রাশ টেনেছে চিন। সেখানে উইঘুর (Uighurs) ও অন্য মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর জুলুমের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কয়েকদিন আগে বিবিসির তরফে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, বন্দিশিবিরে থাকা মুসলিম মহিলাদের উপর পরিকল্পনা করে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে চিন। সেই রিপোর্টকে ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমেরিকা।