সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের (China) জমির খিদে যে সর্বগ্রাসী হতে চলেছে তা বহুকাল আগেই বুঝতে পেরেছে আমেরিকা। সম্প্রতি এক মার্কিন সেনাকর্তা সতর্ক করেছেন যে তাইওয়ান (Taiwan) দখল করতে হামলা চালাতে পারে লালফৌজ। সেই সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে ফের দ্বীপরাষ্ট্রটির আকাশসীমা অনুপ্রবেশ করল চিনের যুদ্ধবিমান।
[আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক চায় ভারত’, ইমরানকে চিঠি মোদির]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সোমবার সকালে তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে চিনা বায়ুসেনার দুটি চেংদু জে-১০ ফাইটার জেট। সঙ্গে সঙ্গেই পালটা টহল শুরু করে তাইওয়ানের বায়ুসেনা। এনিয়ে চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত অন্তত বারোবার চিনা যুদ্ধবিমান তাইপেইয়ের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে। ফলে রীতিমতো যুদ্ধের মেঘ তৈরি হয়েছে অঞ্চলটিতে। গত জানুয়ারি মাসে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র উ কিয়ান কার্যত হুমকির সুরে বলেন, “তাইওয়ান চিনের অংশ। তাইওয়ানের স্বাধীনতার কথা যারা বলছে তারা আগুন নিয়ে খেলছে। এর ফল কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা তারা বুঝতে পারছে না।” কয়েকদিন আগেই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের মার্কিন সেনাকর্তা অ্যাডমিরাল ফিলিপ ডেভিডসন এই বিষয়ে বলেন, “২০৫০ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমেরিকার নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো ক্ষমতা অর্জন করতে চায় চিন (China)। তারা আন্তর্জাতিক আইন সেই অর্থে মানে না। এই বিষয়ে আমি উদ্বিগ্ন। আমার মনে হয়, আগামী ছয় বছরের মধ্যে তাইওয়ান দখল করতে হামলা চালাবে চিন।”
উল্লেখ্য, গতবছর চিনের উপর চাপ বাড়িয়ে তাইওয়ানকে (Taiwan) মিসাইল দেওয়ার কথা ঘোষণা করে আমেরিকা। সেবার ১০০টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র বা কোস্টাল ডিফেন্স সিস্টেম বিক্রির সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রশাসন। এই অস্ত্র চুক্তি যে চিনের উপর চাপ বাড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর আগে আগস্টের ১০ তারিখ চিনের আপত্তি উড়িয়ে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার। তাইপে গিয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের জোরাল সমর্থন রয়েছে বলে জানান। সব মিলিয়ে চিন সামরিক পদক্ষেপ করলে তাইওয়ানের মদত করবে আমেরিকা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।