সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ চিন সাগর (South China Sea) নিয়ে ফের সংঘাতে জড়াল চিন ও আমেরিকা। সোমবার বিতর্কিত পারাসেল দ্বীপপুঞ্জের পাশে একটি মার্কিন রণতরীকে তাড়া করে চিনা নৌবহর বলে দাবি করেছে বেজিং।
[আরও পড়ুন: হাইতির প্রেসিডেন্ট খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, ফাঁস বিস্ফোরক তথ্য]
চিনের দাবি, পারাসেল দ্বীপপুঞ্জের পাশে তাদের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে ‘USS Benfold’ নামের মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। কমিউনিস্ট দেশটির সেনবাহিনী ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’র সাদার্ন থিয়েটার কমান্ডের বক্তব্য, দক্ষিণ চিন সাগরে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করেছে আমেরিকা। এমন ‘আগ্রাসী কার্যকলাপ’ থেকে আমেরিকাকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছে চিনা ফৌজ। এদিকে, এই ঘটনায় পালটা বিবৃতি জারি করেছে মার্কিন নৌসেনার সপ্তম নৌবহর (7th fleet)। তারা জানিয়েছে, পারাসেল দ্বীপপুঞ্জের পাশে আন্তর্জাতিক আইন ও সাগরে চলাচলের অধিকার মোতাবেক রণতরীটি টহল দিয়েছে। সাগরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় যাতায়াতের স্বাধীনতা বজায় রাখা হবে। ভবিষ্যতেও এমন অভিযান চলবে। বলে রাখা ভাল, দক্ষিণ চিন সাগরে বেশ কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত পারাসেল দ্বীপপুঞ্জ। খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ ওই গোটা অঞ্চলটি নিজের বলে দাবি করে চিন। একইসঙ্গে ওই অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে এসেছে ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, ফিলিপিন্স ও মালয়েশিয়া-সহ বেশ কয়েকটি দেশ।
উল্লেখ্য, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বরাবরই আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্ন রয়েছে লাল চিনের। বিশেষ করে দক্ষিণ চিন সাগর বরাবর অন্যান্য দেশকে চাপে রেখে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে চেয়েছে বেজিং। বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বেজিং। প্রায় গোটা জলরাশিটাই নিজেদের বলে দাবি করে কমিউনিস্ট দেশটি। পালটা, সেখানে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে শক্তিপ্রদর্শন করছে আমেরিকা (America)। বিশ্লেষকদের মতে, ‘ড্রাগন’কে রুখতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা। সদ্য সমাপ্ত জি ৭ বৈঠকের মঞ্চেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) মুখে শোনা গিয়েছে সংঘাতের সুর। তবে শুধু দক্ষিণ চিন সাগর নয়, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বরাবরই কৃতিত্ব কায়েম করতে সচেষ্ট জিনপিং সরকার। কখনও জাপান, কখনও ফিলিপিন্স তো কখনও আমেরিকার সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে বেজিং।