সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্ত নিয়ে সমস্যা এখনও অব্যাহত ভারত-চিনের মধ্যে। এর পাশাপাশি পড়শি দেশের আগ্রাসন নীতি বস্তুত চিন্তায় রেখেছে নয়াদিল্লিকে। উত্তরে পাকিস্তান (Pakistan), নেপালের (Nepal) সঙ্গে যেমন সখ্যতা বজায় রেখেছে লাল চিন, তেমনই দক্ষিণে ভারতের আরেক প্রতিবেশী রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাতেও (Sri Lanka) ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করছে বেজিং। ইতিমধ্যে সেদেশের হাম্বানটোটা বন্দর ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে চিন। আর এবার আরও একটি বন্দর তাদের হাতে আসতে পারে বলে খবর। আর এই খবরেই ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। এই বিষয়টি যে নয়াদিল্লির কাছে খুবই চিন্তার এবং গোটা পরিস্থিতির দিকে যে নজর রাখা হচ্ছে, সেটা শনিবারই জানালেন নৌসেনার ভাইস চিফ ভাইস অ্যাডমিরাল জি অশোক কুমার।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নৌসেনার শীর্ষ আধিকারিক পরিষ্কার জানান, ভারত মহাসাগরের পরিস্থিতির উপর সর্বদাই নজর রাখছে ভারতীয় নৌসেনা। দেশের জলসীমানা রক্ষা করতে নৌবাহিনী সবসময় প্রস্তুত। কোনও শত্রুদেশই ভারতকে চমকে দিতে পারবে না। বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় ক্ষমতায় ‘চিনপন্থী’ গোতাবায়া রাজাপক্ষে সরকার। ফলে বেজিংয়ের সঙ্গে কলম্বোর সখ্যতা আগের তুলনায় অনেকটাই ভাল। এই পরিস্থিতিতে হাম্বানটোটা বন্দরের পর, কলম্বোর নিকটবর্তী আরও একটি বন্দর আসতে পারে বেজিংয়ের হাতে। আর এই খবরেই উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলায় গণতন্ত্র বিপন্ন, চিন্তা হচ্ছে’, দ্বিতীয় সাক্ষাতেও রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে শাহকে নালিশ ধনকড়ের]
এই প্রসঙ্গেই প্রশ্ন করা হলে নৌসেনার ভাইস চিফ ভাইস অ্যাডমিরাল জি অশোক কুমার বলেন, “শ্রীলঙ্কায় চিনের প্রভাব বিস্তার ভারতের জন্য অশনিসংকেত কিনা, সেটা বলা খুবই কঠিন। কিন্তু বাইরের কেউ যদি এই অঞ্চলের ব্যাপারে অতিরিক্ত উৎসাহ দেখায় তাহলে সেটা অবশ্যই চিন্তার। যদিও এই এলাকা দিয়েই যেহেতু চিন অধিকাংশ বাণিজ্য করে, তাই উৎসাহ দেখানোটাও স্বাভাবিক তাঁদের ক্ষেত্রে। তাই আমাদের অবশ্যই নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টির দিকে নজর রাখতে হবে। তাই পুরো পরিস্থিতির দিকে ভারত নজর রাখছে।” শুধু তাই নয়, তিনি আরও জানান, গোটা এলাকার উপরই ভারতীয় নৌসেনা কড়া নজর রাখছে। পাশাপাশি তিনি আরও আশ্বস্ত করেন, ২৬/১১-র মতো ঘটনা আর যাতে না ঘটে সেজন্যও সদা প্রস্তুত রয়েছে নৌবাহিনী।