সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের তাইওয়ান (Taiwan) ‘দখল’ নিয়ে মুখ খুললেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। তবে আর গায়ের জোরে নয়, এবার ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ চিন-তাইওয়ানের ‘পুর্নমিলন’ নিয়ে সরব হলেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহল, মার্কিন কূটনীতির মারপ্যাঁচেই সুর নরম করলেন চিনের প্রেসিডেন্ট।
বেজিংয়ের ‘গ্রেট হল’-এ চিনে (China) সাম্রাজ্যবাদ শাসন অবসানের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখেন শি জিনপিং। সেখানেই তাইওয়ান-চিনের ‘পুনর্মিলন’ নিয়ে সরব হন তিনি। চিনের প্রেসিডেন্টের কথায়, “বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরোধিতা চিনের ঐতিহ্য। তাইওয়ানের স্বাধীন সরকার গঠন আদতে বিচ্ছিন্নবাদেরই অংশ। আর এই সরকার চিনের মাতৃভূমিকে বিভক্ত করেছে। পুনর্মিলনের ক্ষেত্রে বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” সেখান থেকে প্রচ্ছন্নভাবে আমেরিকাকেও হুঁশিয়ারি দেন জিনপিং।
[আরও পড়ুন: ‘ভুয়ো তথ্য ছড়ায়, ফেসবুক গণতন্ত্রের বিপদ’, তোপ নোবেলজয়ী সাংবাদিকের]
চিনের প্রেসিডেন্টের কথায়, “চিনের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এ দেশের মানুষের কাছে কঠোর সংকল্প। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষমতাকে কেউ যেন হালকা ভাবে না নেয়। বিভাজন মিটিয়ে মাতৃভূমিকে এক ছাতার তলায় আনার কাজ চলছে। আর তা দ্রুতই শেষ করা হবে।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিন প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে দিলেন তাইওয়ান দখল করবেই চিন। মার্কিন সতর্কতা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ বেজিং।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে টানা চারদিন তাইওয়ানের আকাশে হানা দিয়েছিলেন চিনের যুদ্ধবিমান। সে দেশ দখল নিয়ে ক্রমাগত হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেজিং। এদিন অবশ্য ‘বিমানহানা’ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি শি জিনপিং। কিছুদিন আগেই মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছিলেন, তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করবে আমেরিকা। বলেন, “তাইওয়ানের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধটা পাথরের মতো কঠিন। ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে এটা খুবই জরুরি।” পরোক্ষে চিনকে বার্তা দিয়ে ওই দুঁদে মার্কিন আমলা আরও বলেন, “আমরা সবসময় বন্ধুদের পাশে দাঁড়াব। গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের সঙ্গে আমরা আগামী দিনেও সম্পর্ক আরও মজবুত করে যাব।” এবার পালটা চিনা প্রেসিডেন্ট আমেরিকাকে বার্তা দিলেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।