সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার সমুদ্রেও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে চিন (China)। ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে চিনা নৌসেনারা একাধিক জাহাজকে টহল দিতে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে ‘ড্রাগনে’র অভিসন্ধি আরও স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে ভারতের কাছে।
[আরও পড়ুন: WHO-এর করোনা ভ্যাকসিন প্রকল্পে যোগদান আমেরিকার, বড় পদক্ষেপ বিডেন প্রশাসনের]
লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের পর থেকেই মুখোমুখি ভারত (India) ও চিনের সেনাবাহিনী। এহেন পরিস্থিতিতে ভারত মহাসাগরে সুমাত্রার পশ্চিমে নজরদারি চালাচ্ছে ‘শিয়াং ইয়াং হং ০৩’ নামের চিনা জাহাজ। এমনটাই জানিয়েছে ‘ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স’ নামের একটি প্রতিরক্ষা বিশ্লেষণী সংস্থা। উপগ্রহ ছবিতেও (Satellite image) এর প্রমাণ মিলেছে। গত সপ্তাহেও এই চিনা জাহাজটি চুপিসারে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় ঢুকে পড়েছিল বলে অভিযোগ। বিশ্লেষকদের মতে, ভারত মহাসাগরে সমুদ্রতলের নকশা তৈরি করছে ‘শিয়াং ইয়াং হং ০৩’। এর ফলে ওই অঞ্চলে সাবমেরিন অভিযান চলতে সুবিধা হবে চিনা নৌসেনার। পাশাপাশি, লালফৌজের রণতরীর কমান্ডাররাও গোটা অঞ্চলের ভৌগলিক বিষয়ে জানতে পারবেন, যা যুদ্ধের সময় কাজে আসবে।
এদিকে, চিনা নৌসেনার গতিবিধির উপর তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে ভারত। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়েছে, ভারতীয় জলসীমায় কোনও ধরনের অনুপ্রবেশ মেনে নেওয়া হবে না। যদিও এহেন আগ্রাসী কার্যকলাপের পরও বেজিংয়ের দাবি, জলদস্য দমনের জন্য আন্তর্জাতিক জলসীমায় নৌবহর পাঠাচ্ছে তারা। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে এডেন উপসাগরে সোমালিয়ার (Somalia) জলদস্যুদের উপদ্রব প্রচুর বেড়ে যায়। তারপর থেকেই চিন-সহ একাধিক দেশ দস্যুদমনে ইভিজন শুরু করে। কিন্তু বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন যে সোমালি দস্যুদের কাবু করতে এহেন বিপুল রণসজ্জার প্রয়োজন নেই। অত্যাধুনিক ও বিভিন্ন মিসাইলে সজ্জিত চিনা রণতরীগুলি যেভাবে টহল দিচ্ছে তাতে লালফৌজের আগ্রাসী মনোভাব সাফ হয়ে গিয়েছে। তাই ভারতীয় নৌবাহিনীও যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় সম্পুন তৈরি।