সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভগবান রাম এবং নিজেকে তাঁর 'হনুমান' বলে দাবি করতেন। সেই চিরাগ পাসওয়ানই এবার বিজেপির মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। জাতিগত জনগণনা এবং সংরক্ষণ ইস্যুতে ক্রমশ কেন্দ্রের অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন চিরাগ। দিন দুই আগেই তিনি হুমকি দিয়েছেন, সরকার সংরক্ষণ নীতি বদলালে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে পিছপা হবেন না তিনি। পরে অবশ্য অবস্থান বদলে এনডিএ ছাড়ার কথা অস্বীকার করেছেন চিরাগ।
আসলে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীরা প্রচার করেছিল, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সংবিধান বদলে দেওয়া হবে। সংরক্ষণ তুলে দেওয়া হবে বা কমিয়ে দেওয়া হবে। যার ভালো প্রভাব পড়েছে দলিত বেল্টে। সেই প্রচারের প্রভাব এখনও রয়েছে। বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে চিরাগকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। সেসব প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই দিন দুই আগে চিরাগ বলে দিয়েছেন, "সংরক্ষণের যে নীতি রয়েছে, তাতে যদি পরিবর্তন হয়, আমি বাবার মতো মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিতে দ্বিধা করব না।" মোদির 'হনুমানে'র সাফ ইঙ্গিত, কেন্দ্র সংরক্ষণ নীতি বদলালে তাঁর দল জোট ছেড়ে আসতে দুবার ভাববে না।
বস্তুত, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পর কেন্দ্রে এবং জেডিইউ, টিডিপি, শিণ্ডে সেনা এবং চিরাগের দল এলজেপির সমর্থনে সরকার গড়েছে বিজেপি। গত চার মাসে একাধিক জোট শরিক একাধিক ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও প্রকাশ্যে কোনও শরিকই জোট ছাড়ার হুঁশিয়ারি এভাবে দেয়নি। চিরাগই প্রথম।
যদিও পরে ড্যামেজ কন্ট্রোল করে ফেলেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির স্পষ্ট করে দিয়েছে, সরকার সংরক্ষণ নীতিতে বদলের কথা ভাবছে না। এমনকী জাতিগত জনগণনা নিয়ে আরএসএসও সদর্থক ভূমিকা নিয়েছে। তারপরই অবশ্য চিরাগ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি কোনওভাবেই এনডিএ ছাড়ছেন না। এলজেপি নেতার সাফ কথা, "দুনিয়ার কোনও শক্তি আমাকে প্রধানমন্ত্রীর থেকে আলাদা করতে পারবে না।"