গোবিন্দ রায়: কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) স্বস্তি পেলেন রাজ্য সরকারের প্যানেলভুক্ত আইনজীবী সঞ্জয় বসু। ১০ মার্চ তাঁকে ইডির পাঠানো সমনের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল আদালত। আদালতের পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সামনে হাজিরা দিতে হবে না আইনজীবীকে। এমনকী, আদালতের নির্দেশ ছাড়া তাঁর অফিস ও বাড়িতে কোনও তল্লাশি করতে পারবে না ED। ফলে বুধবার তাঁকে ইডির সামনে হাজিরা দিতে হল না তাঁকে।
প্রাথমিকভাবে আদালত মনে করছে, সঞ্জয় বসুর বিরুদ্ধে এই তদন্ত ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার তদন্তের সঙ্গে জড়িত। এই মামলা শোনার এক্তিয়ার এই এজলাসের রয়েছে। সোমবারের মধ্যে ইডিকে মামলার সব নথি পেশ করার জন্য নির্দেশও দিয়েছে আদালত। তারপরে এই এজলাস মামলা শুনবে কি না সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে হাই কোর্ট।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত ‘নুক্কড়’ ও ‘সার্কাস’ সিরিয়াল খ্যাত বর্ষীয়ান অভিনেতা সমীর কক্কর]
ইডির আইনজীবী আদালতে দাবি ছিল, এই মামলা এই এজলাসের বিচার্য বিষয় নয়। এটা কোনও ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার মামলা নয়। এটা আর্থিক তছরুপ আইনের অধীনস্থ মামলা। মামলাকারীর কাছে বিকল্প আইনি পন্থা রয়েছে।
ইডির আইনজীবী আদালতে দাবি ছিল, এই মামলা এই এজলাসের বিচার্য বিষয় নয়। এটা কোনও ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার মামলা নয়। এটা আর্থিক তছরুপ আইনের অধীনস্থ মামলা। মামলাকারীর কাছে বিকল্প আইনি পন্থা রয়েছে। তিনি FIR খারিজের আবেদন জানাতে পারেন। চাইলে আগাম জামিনের আবেদন জানাতে পারেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী প্রশ্ন, নিয়ম অনুযায়ী এই আবেদন সিঙ্গেল বেঞ্চের কাছে জানাতে হয়। ডিভিশন বেঞ্চে কেন এসেছেন? সঞ্জয় বসুর আইনজীবীর পালটা দাবি, “ইডি নিজেই জানিয়েছে আমি ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার সুবিধাভোগী। তাহলে এই মামলা কেন এই এজলাসের বিচার্য বিষয় হবে না? “
দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর হাই কোর্টের বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “গান্ধীজিকে যখন ব্রিটিশরা গ্রেপ্তার করতে এসেছিল তখনও এটাই প্রশ্ন ছিল যে কোন অভিযোগের ভিত্তিতে তারা গ্রেপ্তার করতে এসেছে? এখানে আপনাদের অভিযোগ কী? এটা আমাদের বিচার্য বিষয় কি না সেটা স্থির করতে হলে আমাদের নথি দেখতে হবে।”