ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা (Manish Shukla) খুনে নয়া মোড়। এবার দুই প্রশাসককে জেরা করল সিআইডি। বৃহস্পতিবার বারাকপুর পুরসভার প্রশাসক উত্তম দাস এবং টিটাগড় পুরসভার প্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরিকে তলব করে সিআইডি। সেই অনুযায়ী তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, মণীশ শুক্লা খুনের সময় ঠিক কোথায় ছিলেন তাঁরা সেই সংক্রান্ত খোঁজখবর নেয় সিআইডি। তবে দুই প্রশাসককে সিআইডির জেরা নিয়ে মাথাচাড়া দিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
মণীশ শুক্লার পরিবারের দায়ের করা এফআইআরে নাম রয়েছে প্রশাসক উত্তম দাস এবং প্রশান্ত চৌধুরির। সিআইডি (CID) জেরার পর তাঁরা দাবি করেন, “বিজেপি নেতা খুনে কোনওভাবেই যুক্ত নই। তবে বিজেপি পরিকল্পনামাফিক কালিমালিপ্ত করতে চাইছে। তাই নাম এফআইআরে রাখা হয়েছে। সে কারণে সিআইডি তলব করেছিল। বৃহস্পতিবার সিআইডির সঙ্গে দেখা করেছি। তদন্তের স্বার্থে ভবিষ্যতে আবারও সিআইডি তলব করলে দেখা করব।” তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন দু’জনে। এদিকে প্রশাসককে জেরার পরেও খুব একটা সন্তুষ্ট নন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর দাবি, “মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বারাকপুর পুরসভার প্রশাসক উত্তম দাস এবং টিটাগড় পুরসভার প্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরিকে সিআইডির তলব আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়।”
[আরও পড়ুন: ‘এতদিন বন্ধ করে রেখেছিল তৃণমূল’, ‘নিজ উদ্যোগে’ হুগলির জুট মিল খোলার পর তোপ লকেটের]
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন অর্জুন সিং (Arjun Singh) ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা। প্রথম থেকেই গেরুয়া শিবিরের দাবি, তৃণমূলই পরিকল্পনামাফিক মণীশকে খুন করিয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করেছে শাসকদল। হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে বিজেপির অন্তর্কলহকেই পালটা দায়ী করে তারা। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। যদিও তাতে খুশি নেয় গেরুয়া শিবির। সিআইডির উপর আস্থা নেই বলে বারবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি প্রতিনিধিরা। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একাধিকবার টুইটে রাজ্যকে কটাক্ষ করেন। মণীশ শুক্লার খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব বিজেপি (BJP)। তবে সে দাবি এখনও পূরণ হয়নি।