সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: কয়লা কাণ্ডে প্রথম গ্রেপ্তারি। সিআইডি’র জালে রণধীর সিং নামের এক ব্যবসায়ী। সূত্রের খবর, কয়লা পাচারচক্রের প্রধান অনুপ মাজি ওরফে লালার ঘনিষ্ঠ ওই ব্যবসায়ীকে অন্ডাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নেই গাড়ি, হাতে নগদ মাত্র ৫ হাজার! জেনে নিন শুভেন্দু অধিকারীর সম্পত্তির পরিমাণ]
ফেব্রুয়ারি মাসের পাঁচ তারিখে সিআইডির ডিআইজি অজয় ঠাকুরের নেতৃত্বে একটি দল দুর্গাপুর আসানসোলের যে সমস্ত জায়গায় অবৈধভাবে কয়লা তোলা হচ্ছিল বলে অভিযোগ সেসব জায়গায় তদন্ত চালায়। সেসময় অন্ডালের কাজোরা এরিয়ার লছিপুর, হরিশপুর, তালডাঙা, জে কে রোপওয়ে, বক্তারনগর এলাকাগুলিতে অবৈধ খাদানগুলি পরিদর্শন করেন সিআইডি গোয়েন্দারা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলেন সিআইডির আধিকারিকরা। সিআইডি ডিআইজি জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন সময়ে বেআইনি কয়লা পাচার ও চুরির অভিযোগ করেছিল ইসিএল। সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতেই অবৈধ কয়লা কারবারের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলা হবে।
এবার তার মাসখানেক পরেই অন্ডাল থানা এলাকার কাজোরা এরিয়ায় তাঁর বাড়ি থেকে অনুপ মাজির ঘনিষ্ঠ রণধীর সিংকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি বলে সূত্রের খবর। আজ শনিবার রণধীরকে আদালতে তোলা হবে। ধৃতকে সিআইডি হেফাজতে নিয়ে তদন্তের গতি দ্রুত করতে চাইছেন গোয়েন্দারা। বাম আমল থেকেই অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বরে কয়লা পাচারে জড়িত রণধীর বলে অভিযোগ। কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাঁ’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল তাঁর। বাংলায় পালাবদলের পর অনুপ মাজির ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন রণধীর। পাশাপাশি, তিনি জিতেন্দ্র তিওয়ারির অনুগামী বলেও এলাকায় পরিচিত।
সম্প্রতি কয়লা ও গরু পাচার নিয়ে চাপানউতোর চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। দ্রুত তদন্ত করছে সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পাশাপাশি তদন্ত চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ে এই বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘ভোট রাজনীতির’ অভিযোগ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কয়লা পাচার কাণ্ডে অনুপ মাজি ওরফে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করল সিবিআই। এই মর্মে সহযোগিতা চেয়ে রাজ্যের চার জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।সব মিলিয়ে কয়লা পাচারে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত যে চরমে তা স্পষ্ট।