সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে বহু পর্যটক ভিড় জমান প্রতি বছর। সেই ভূস্বর্গেই জঙ্গিদের টার্গেটে পর্যটকরা। তার ফলে কাশ্মীর থেকে মুখ ফিরিয়েছেন পর্যটকরা। পর্যটনের ভরা মরসুমে যেন খাঁ খাঁ করছে উপত্যকা। তার প্রভাব অর্থনীতিতে যে পড়বে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই পরিস্থিতিতে অভিনেতা অতুল কুলকার্নির একটাই আর্জি, "কাশ্মীরে আসতেই হবে। না হলে জিতে যাবে জঙ্গিরা।"
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর তিনি বর্তমানে কাশ্মীরেই রয়েছেন। পাহাড়, পরিষ্কার আকাশে ঘেরা প্রকৃতি, আপন ছন্দে বয়ে চলা নদীর ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেতা।
সঙ্গে ইনস্টা স্টোরিতে মুম্বই থেকে শ্রীনগরগামী বিমানের ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেতা। প্রায় সিংহভাগ আসনই ফাঁকা। সঙ্গে লিখেছেন, "আমাদের আবার আসন পূরণ করতে হবে। কাশ্মীরে আসুন।"
বেশ কয়েকজন কাশ্মীরির সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। হাতজোড় করে স্থানীয়রা হামলার সমালোচনা করেন। প্রমাণস্বরূপ সে ছবিও শেয়ার করেছেন অভিনেতা।
স্বাভাবিক ছন্দেই ছিল কাশ্মীর। পর্যটনের মরসুমে বহু পর্যটকই সেখানে ভিড় জমিয়েছিলেন। বৈসরনের ঘটনায় ছন্দ হারিয়েছে উপত্যকা। কার গাফিলতিতে এত বড় কাণ্ড ঘটল? প্রত্যাঘাত কবে হবে - তা নিয়ে চলছে বিস্তর আলাপ আলোচনা। তবে এই টানাপোড়েনের মাঝে পর্যটন ব্যবসা মার খেয়েছে। আবার কাশ্মীর পর্যটন নির্ভরশীল অর্থনৈতিক পরিকাঠামোগত এলাকা। তাই স্বাভাবিকভাবেই পর্যটনে খরা চললে আজ না হোক আগামিকাল রুটিরুজিতে টান পড়বে কাশ্মীরিদের। সেকথা মাথায় রেখে অতুল কুলকার্নির মতো অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্তও ভিডিও বার্তায় সকলকে কাশ্মীর থেকে মুখ না ফেরানোর আর্জি জানিয়েছেন। পরবর্তী ছুটিতে কারও গন্তব্য কাশ্মীর হলে তাঁর পাশে গোটা বলিউড রয়েছে বলেই দাবি করেছেন। তারকারা তো বলছেন তবে আতঙ্ক কাটিয়ে ফের কবে পর্যটকরা উপত্যকামুখী হন, সেটাই এখন দেখার।