সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালি যেমন রন্ধনে-বন্ধনে বিশ্বাসী, তেমনই সিনেমাপ্রেমী জাতি। তবে খাদ্যরসিকতার সঙ্গে যখন সেকেন্ডে চব্বিশ ফ্রেমের রসায়ন জমে যায়, তখন সেই মেলবন্ধন আরও গাঢ় হয় বইকী! বিষয়টা আরেকটু স্পষ্ট করে বলতে গেলে বাংলা ছবিতে বিনিয়োগের পথ সুগম হল আদানি উইলমারের ফরচুনের হাত ধরে। কারণ নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রযোজনা সংস্থা উইন্ডোজ-এর সঙ্গে আগামী পাঁচ বছরের জন্যে চুক্তিবদ্ধ হল এই সংস্থা।
টেলিভিশন, বড়পর্দা মিলিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে ২৫ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন নন্দিতা-শিবপ্রসাদ। এবার ফরচুন গ্রুপ তাঁদের ২৫ বছরের উদযাপনে সংশ্লিষ্ট প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হল। নন্দিতা-শিবপ্রসাদ যেমন আম দর্শকের নাড়ির স্পন্দন বুঝে মনস্তত্ত্বের পাঠ দেন সিনেমার মাধ্যমে, জনপ্রিয় ফুড ব্র্যান্ড ফরচুনও তেমনই আম হেঁশেল জায়গা করে নিয়েছে নিজস্ব ঝাঁজে-গন্ধে। এবার দর্শকদের দারুণ সিনেম্যাটিক ভেঞ্চার্স উপহার দেওয়ার জন্য দুই সংস্থা চুক্তিবদ্ধ হল। এই অবশ্য প্রথম নয়, এর আগেও 'অলীক সুখ', 'বেলাশেষে', 'প্রাক্তন', 'হামি' থেকে 'রক্তবীজ'-এর মতো উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার সিনেমাগুলিতে বিনিয়োগ করেছে আদানি। বাংলার গল্প, বাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরার জন্য চুক্তিবদ্ধ এই দুই সংস্থার তরফে যে আগামী দিনেও আরও ভালো সিনে-উপহার পাওয়া যাবে, এমনটাই প্রত্যাশা রাখা যায়। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৫ সাল থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর নন্দিতা-শিবপ্রসাদের প্রযোজনা সংস্থায় ৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে আদানি উইলমারের ফরচুন। অন্যদিকে চুক্তি অনুযায়ী, উইন্ডোজের নানা সিনেমায় বিভিন্নভাবে ফরচুন-এর ব্র্যান্ড পজিশনিং করা হবে। খোলসা করে বললে, নন্দিতা-শিবপ্রসাদের বিভিন্ন সিনেমায় ফরচুন-এর উল্লেখ থাকবে।
এপ্রসঙ্গে আদানি উইলমার লিমিটেড-এর সিইও জানিয়েছেন, "২৫ বছর ধরে ফরচুন ফুডসকে জনপ্রিয় করে তোলার নেপথ্যে বাঙালিদের অবদান অনস্বীকার্য। এহেন সমর্থন না পেলে এই রজতজয়ন্তী উদযাপন সম্ভব হত না। আমাদের ব্র্যান্ডের দুর্দান্ত বাণিজ্যিক সাফল্যের নেপথ্য পশ্চিমবঙ্গ। নিঃসন্দেহে বাংলার বাজার আমাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আর উইন্ডোজ-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া আদতে বাংলার প্রতি আমাদের সেই ভালোবাসারই অঙ্গীকার। উইন্ডোজ এবং ফরচুন একসঙ্গে আগামীতে বাংলার রন্ধন সংস্কৃতি সিনেম্যাটিকভাবে তুলে ধরবে।" উচ্ছ্বসিত শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, "উইন্ডোজ বরাবরই এমন গল্প বলে যার সঙ্গে বাঙালি দর্শকরা একাত্ম হতে পারে। এবং ফরচুন ফুডসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার নেপথ্যে সেই দৃষ্টিভঙ্গিটাই কাজ করেছে। আগামীতে বাংলার ঐতিহ্যশালী সংস্কৃতি তুলে ধরব আমরা একসঙ্গে। আমাদের এই বন্ধুত্ব বাংলা সিনেমার পক্ষেও লাভজনক হবে এবং আরও নতুন পথ সুগম করবে।"