সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও ফোনে, কখনও চিঠিতে, কখনও আবার সরাসরি শুটিং ফ্লোরে ঢুকে। সলমনকে মেরে ফেলার হুমকি। বিন্দাস হয়েই দোষ নিজেদের ঘাড়ে নিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোইর দল। সিনেমার পর্দায় 'দাবাং' হলেও রিয়্যাল ভাইজানকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা। বুলেটপ্রুফ গাড়ি থেকে শেরার মতো ডাকাবুকো 'বডিগার্ড', সবই আছে সলমনের। কিন্তু বাড়ির ছেলের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত সলমন খানের পরিবার। তাই তো তাঁর জন্মদিন নিয়ে সকলে মিলে নিয়েছেন বড় সিদ্ধান্ত।
বড়দিনের ঠিক পরে আগামী ২৭ ডিসেম্বর ৫৯তম বছরে পা দিচ্ছেন সলমন। গত বছরও মুম্বইয়ের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে ছিল ভক্তদের ভিড়। বাবা সেলিম খানকে নিয়ে বাড়ির বারান্দায় এসেছিলেন ভাইজান। ভক্তদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেছিলেন। এবার কি এই দৃশ্য দেখা যাবে? বলিউডের 'দাবাং' খানের জন্মদিনের পরিকল্পনা কী? এই প্রশ্নই করা হয়েছিল সোহেল খানকে।
সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনেই সামান্য হেসে সোহেল জানান, একেবারে ঘরোয়াভাবেই ভাইজানের জন্মদিনের সেলিব্রেশন হবে। পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। হাতেগোনা কয়েকজন বন্ধুও আসবেন সুপারস্টারকে শুভেচ্ছা জানাতে। এখন নিরাপত্তার বড় কড়াকড়ি। তাই যা আয়োজন সমস্ত কিছু বাড়ির মধ্যেই হবে।
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই লরেন্স বিষ্ণোইর নেতৃত্বাধীন বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সলমন খান। আতঙ্ক বাড়ে বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডের পর থেকে। দশেরার দিন বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করা হয়। পূর্ব বান্দ্রায় বাজি ফাটাচ্ছিলেন এনসিপি (অজিত) নেতা। সেই সময়ই তার উপরে দুষ্কৃতীদের হামলা হয়। আচমকাই সেখানে হাজির হয় তিন দুষ্কৃতী। তারা লাগাতার গুলি চালাতে থাকে। গুলি ফুঁড়ে দেয় সিদ্দিকির শরীর। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় সিদ্দিকির।
বন্ধুকে এভাবে হারিয়ে ভেঙে পড়েন সলমন খান। এদিকে তো হুমকির শেষ নেই। এর আগে হুমকি বার্তায় পাঁচ কোটি টাকার দাবি করা হয়েছিল। সেই ঘটনার অভিযুক্ত হিসেবে জামশেদপুরের এক সবজি বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরই আবার সলমন খান ও বাবা সিদ্দিকির ছেলে তথা মুম্বইয়ের বান্দ্রা-পূর্ব আসনের বিধায়ক জিশান সিদ্দিকিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে নয়ডা থেকে ২০ বছরের এক যুবককে পাকড়াও করা হয়। ডিসেম্বর মাসে শুটিং ফ্লোরে ঢুকে সরাসরি সলমনকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। নিজেকে লরেন্স বিষ্ণোইর দলের সদস্য হিসেবে দাবি করে সে। যদিও সলমনের কাছে পৌঁছানোর আগেই সেটের নিরাপত্তারক্ষীরা ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন। পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।