সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারত-পাক সংঘাতের আবহে তার আঁচ পড়েছে বহু ক্ষেত্রেই। এমনকি দুই দেশের বিনোদন মাধ্যমেও এই ঘটনার পর ব্যাপকভাবে আঁচ পড়েছে। পাক শিল্পীরা নিষিদ্ধ হয়েছেন এদেশে। বর্তমানে পাক অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের সঙ্গে দিলজিৎ দোসাঞ্ঝের ছবি 'সর্দারজি ৩' নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। এসবের মাঝেই দানা বাঁধল নতুন বিতর্ক।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকে এদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল পাক অভিনেতা-অভিনেত্রীর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও। ভারতীয় কোনও নেটিজেন সেসব পাক তারকাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ঢুকতে গেলেই মেসেজ ভেসে উঠছিল- "এই অ্যাকাউন্টটির ভারতে কোনও অস্তিত্ব নেই। কারণ আমরা আইনি অনুরোধ মেনে এই কন্টেন্ট সীমাবদ্ধ করেছি।" এদেশে নিষিদ্ধ হওয়া তারকা অ্যাকাউন্টের তালিকায় রয়েছেন মাওরা হোসেন, আয়েজা খান, সনম সইদ, মায়া আলি, ইকরা আজিজ হুসেন-সহ আরও অনেকে। মঙ্গলবার রাত থেকে হঠাৎ খবর চাউর হয় আচমকাই নাকি এদেশে বসে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাওরা হোসেন, সাবা কামারের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট। আর তাঁরপর থেকেই সকলের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্ন তাহলে কি এই অ্যাকাউন্টগুলির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল?
এই ঘটনার পর সরব হয়েছে 'অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কারস অ্যাসসিয়েশন'। ফিল্ম সংগঠনের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন করা হয়েছে যাতে পাক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি পুরোপুরি এদেশে নিষিদ্ধ করা হয়। এই সংগঠনের তরফে ওই আবেদনে বলা হয়েছে, 'পাক শিল্পী মাওরা হোসেন-সহ আরও অনেকের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ফের এদেশে বসে দেখা যাচ্ছে। যা হওয়া উচিত নয়। ভারত-পাক সংঘাতের আবহে এটি একটি ভীষণ স্পর্শকাতর বিষয় এবং এটি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এরকম হলে তা আমাদের দেশের সেনাবিহিনীর অপমান। শুধু তাই নয় এই পহেলগাঁও কাণ্ডে যাঁরা নিজের আপনজনকে হারিয়েছেন তাঁদের জন্যও এটি অপমানজনক বিষয়।'
যদিও জানা যাচ্ছে, শুধু পাক অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের অ্যাকাউন্টই নয়, ভারত-পাক সংঘাতের আবহে এদেশে নিষিদ্ধ হয়েছিল বহু নামি পাকিস্তানি ক্রীড়াবিদের ইউটিউব চ্যানেলও। সেগুলি থেকেও নাকি এবার ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হচ্ছে সরকারের তরফে।
