সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিনেমার পর্দায় তিনি দিব্যি বলে দিতে পারেন 'পুষ্পা! পুষ্পা রাজ ঝুঁকে গা নেহি!' তবে বাস্তবজীবনের গল্প আলাদা। চাপের মুখে গণতন্ত্রের সিস্টেমের কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য হলেন আল্লু অর্জুন (Allu Arjun)। চতুর্থ দফা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগেই দক্ষিণী সুপারস্টারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেটা রবিবারের কথা। আর সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই হায়দরাবাদের পোলিং বুথের লাইনে আমজনতার মাঝে দেখা গেল আল্লুকে।
কোনওরকম সুপারস্টার হাবভাবের লেশমাত্র নেই। পরনে সাদামাটা ক্যাজুয়াল পোশাক। জনসাধারণের অতিরিক্ত নজর এড়িয়ে চুপচাপই পোলিং বুথের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার। দেখে বোঝার উপায় মাত্র নেই যে, এই অভিনেতাকে দেখতেই মাত্র দু দিন আগে প্রার্থীর বাড়ির বাইরে জনসমুদ্রের ঢল নেমেছিল। যার জেরে আইনি মাশুলও গুণতে হয়েছে তাঁকে। তবে সোম সকালে নির্বাচনী প্রথা সেরেই বুথের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা উৎসুক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আল্লু অর্জুন জানান, "আমি সকলকে বলতে চাই, আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। আমি সব দলের প্রতিই নিরপেক্ষ।"
চতুর্থ দফার ভোটের দিন দুই আগে শনিবার YSRCP দলের বিধায়ক শিল্পা রবি রেড্ডির নান্দিওয়ালার বাড়িতে দেখা করে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন আল্লু অর্জুন। সুপারস্টার আসার খবর পেয়েই নেতার বাড়ির সামনে জনঅরণ্যের সৃষ্টি হয়। সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকেও। আর তাতেই বিপাকে পড়েন দক্ষিণী সুপারস্টার। কারণ এলাকায় ভোটের আগে এমন জমায়েতের অনুমতি নেই। এরপরই আল্লু অর্জুন ও রেড্ডির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নান্দিওয়ালা গ্রামীণ এলাকার ডেপুটি তহসিলদার পি রামাচন্দ্র রাও। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগও জানানো হয়। সেই বিতর্ক পেরিয়ে সোমবার সকালে হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসের বুথে ভোট দেন আল্লু অর্জুন। পাশাপাশি অনুরাগীদের ভোট উৎসবে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, "আমি জানি, বেশ গরম পড়েছে। কিন্তু আপনাদের ভোট দেওয়ার এই সামান্য প্রচেষ্টা আমাদের জীবনের পরবর্তী পাঁচ বছরের ভবিষ্যৎ ঠিক করবে। দয়া করে দায়িত্ব নিয়ে ভোট দিন সকলে।"
[আরও পড়ুন: ‘কেউ নাগরিকত্ব খোয়ালে আমি থুতু চাটব’, CAA নিয়ে চ্যালেঞ্জ মিঠুনের]
এদিকে শনিবার রবির বাড়ি থেকে বেরিয়েই আল্লু বলেছিলেন, “আমি নিজে থেকেই এসেছি। আমার বন্ধুরা যে পেশাতেই থাক না কেন, যদি তাঁদের আমাকে প্রয়োজন হয় তাহলে আমি অবশ্যই তাঁদের পাশে থাকব। তার মানে এই নয় যে আমি কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সাপোর্ট করছি।” প্রসঙ্গত, সোমবার দুবাই থেকে সোজা হায়দরাবাদে পৌঁছেই বুথে সস্ত্রীক ভোট দিয়ে আসেন বাহুবলী পরিচালক এসএস রাজামৌলী। এছাড়াও জুনিয়র এনটিআর, চিরঞ্জিবী, এমএম কিরাবাণি, পবন কল্যাণরা সোমবার চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিন সাত সকালে গিয়ে ভোট দেন। বুথের বাইরে বেরিয়ে সকলেই ভোটচিহ্ন দেখিয়ে ছবি তুলেছেন। চিরঞ্জিবী বন্ধু প্রার্থী পবণ কল্যাণকে শুভেচ্ছাও জানান আগাম ভোটের জন্য।