সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক এবং অভিজিৎ ভট্টাচার্য, যেন একে-অপরের সমার্থক! বেফাঁস মন্তব্যের জন্য প্রায়শই বিতর্কে জড়ান প্রবীণ গায়ক। শাহরুখ, সলমনকেও রেয়াত করে কথা বলেন না তিনি। সম্প্রতি এআর রহমানকে নিশানা করেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য। যিনি ‘মোজার্ট অফ মাদ্রাজ’। বিশ্বজুড়ে অগণিত ভক্তদের কাছে জীবন্ত কিংবদন্তী। অস্কারজয়ী সঙ্গীতশিল্পী। আর সেই রহমানের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ এনে অভিজিৎ (Abhijeet Bhattacharya) বলেন, "রহমানের গানে অতিরিক্ত মাত্রায় প্রযুক্তির ব্যবহার হয়। সঙ্গীতদুনিয়ায় এহেন ডিজিটাল পরিবর্তনের ফলে বহু বাদ্যশিল্পী বেকার হয়ে পড়ছেন।" প্রবীণ গায়কের সেই খোঁচা নিয়ে এবার শেষমেশ মুখ খুললেন রহমান (AR Rahman)।
গানে প্রযুক্তির ব্যবহারে সায় দিয়ে পালটা জবাবে রহমান জানান, এটা বাদ্যশিল্পীদের কোণঠাসা করার বিষয় নয়, মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির প্রভূত উন্নতি সাধন এবং সঙ্গীতে নতুন সৃজনশীলতার অন্বেষণেই এমন এক্সপেরিমেন্ট করা হয়। ‘মোজার্ট অফ মাদ্রাজ’ বললেন, আমাকে সবকিছুর জন্য দোষ দিয়েছেন, বেশ ভালো কথা। তবুও আমি অভিজিৎকে ভালোবাসি। ভাবছি, ওঁর বাড়িতে কেক পাঠাব। আর এটা তো এঁর মন্তব্য। কারও মতামত আলাদা হওয়া তো অন্যায় নয়। এরপরই রহমানের সংযোজন, আমি তো সম্প্রতি দুবাইতে ৬০ জন মহিলাকে নিয়ে একটা অর্কেস্ট্রা টিমের আয়োজন করলাম। ওঁদের প্রত্যেক মাসে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। এছাড়াও বিমা, স্বাস্থ্য এবং সবকিছুর জন্য আর্থিক সাহায্য করি। আমি যখন কোনও সিনেমায় কাজ করি, সেটা 'ছাবা' হোক বা 'পন্নিয়িন সেলভান', আমার কাজের সঙ্গে প্রায় ২০০-৩০০ জন শিল্পী যুক্ত থাকেন। কোনও কোনও গানে তো আবার একশো জনেরও বেশি কাজ করেন। আসলে আমি ছবি পোস্ট করে দেখনদারি করি না। তাই কেউ জানতেও পারেন না।
অভিজিৎ ভট্টাচার্যের কটাক্ষের পালটা দিতে গিয়ে রহমান এও জানান যে, তাঁর কাছে সঙ্গীতের অনন্য সুর সৃষ্টি করার জন্য কম্পিউটার একটা হাতিয়ার মাত্র। যেটা তাঁকে নতুন সুর তৈরি করতে সাহায্য করে। শেষপাতে রহমান এও বলেন যে, "যেসমস্ত সিনেমায় আমি কাজস করেছি, সেসব ছবির প্রযোজকদের গিয়ে জিজ্ঞেস করতে পারেন, তাঁরাই বলে দেবেন, আমার কেরিয়ারে কতজন সঙ্গীতশিল্পীদের নিয়ে আমি কাজ করেছি।"
