সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টলিউডে নবীন প্রজন্মের অভিনেত্রীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় রাজনন্দিনী পাল। ওটিটি প্ল্যাটপর্মে বেশ দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন অভিনেত্রী। এবছর প্রথমবার মহালয়ার অনুষ্ঠানে দুর্গা অবতারে দেখা যাবে রাজনন্দিনীকে। যা কিনা ওয়েব সিরিজের আকারে হইচই প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে দেবীপক্ষের ভোরে। টলিপাড়ার জেনওয়াইয়ের অভিনেত্রী এইবছর কীভাবে পুজোটা প্ল্যান করলেন? সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-এর কাছে পুজো পরিকল্পনা জানালেন রাজনন্দিনী পাল (Rajnandini Paul)।
শৈশবের পুজোর কোন বিষয়টা এখন মিস করেন? অভিনেত্রী জানালেন, "বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন সকলের সঙ্গে প্রতিবারই একভাবে পুজো কাটে। তাও পুজোতে কম কাজ রাখার চেষ্টা করি। কারণ তাঁদের অনেকেই রয়েছেন দেশের বাইরে থাকেন। একমাত্র এই পুজোর সময়ে কলকাতায় আসেন। ওদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্যই শিডিউল একটু ফাঁকা রাখার চেষ্টা করি। তবে এবছর তো পরিস্থিতি একটু আলাদা। তাই উদ্বোধন বা অনেক অনুষ্ঠানই হচ্ছে না। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে ছোটবেলার পুজোর সঙ্গে এখনকার পুজো কাটানোয় কোনও পার্থক্য খুঁজে পাই না। কারণ আমি চিরকাল পুজোতে কলকাতাতেই থাকি। মাঝখানে পাঁচ বছর আমাদের বাড়িতেও দুর্গাপুজো করেছি। তবে লোকবলের অভাবে সেটা বন্ধ করে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেছি আমরা। এখনও অষ্টমীর অঞ্জলি দিই। সন্ধিপুজোর জোগাড় করি। এগুলো ভালো লাগে। আমাদের বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়ও নিজে হাতে জোগাড় করি। আমি পাড়ায় গিয়ে আজও অষ্টমীর ভোগ খাই।"
প্রথমবার সিরিজের আকারে মহালয়া, আর সেখানে উমা রূপী রাজনন্দিনী, কতটা উচ্ছ্বসিত? অভিনেত্রী জানালেন, "প্রথমবার দুর্গা হয়েছি, সেটার জন্য হইচই, শিবাজী পাঁজা, ডিরেক্টর সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়, অর্কনাথদা সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। মহালয়ায় একটা কমার্শিয়াল ব্যাপার। ভীষণ উচ্ছ্বসিত স্পেশালি ভিএফএক্সের কাজ দেখে। মহালয়ার দিনের অপেক্ষায় রয়েছি।" এবার পুজোয় মা দুর্গার কাছে কী চান? "আমি আরও ভালো ভালো কাজ করার সুযোগ যেন পাই। এবার পুজোয় (Celebrity Der Durga Puja) রোমান্স হোক চাই", মন্তব্য রাজনন্দিনীর।
এবার কী প্ল্যান? রাজনন্দিনী বলছেন, "এখন পুজো শুধু আমার কাছে শুধু আনন্দের নয়, রোজগারেরও একটা দিক। এই একটা মাস কাজ থাকে। কারণ দিনের শেষে মানুষদের বিনোদিত করাই তো আমাদের দায়িত্ব।" আর শপিং? অভিনেত্রীর কথায়, "পুজোর জামা নিয়ে ছোটবেলা থেকেই কোনও এক্সাইটমেন্ট নেই। সারাবছরই কেনাকাটা হয়। তাই আলাদা করে পুজোর সময়ে শপিংটা ম্যাটার করে না। এরকমও হয়েছে বন্ধুদের সঙ্গে রাতভর আড্ডা দিতে পুরনো জামা পরেও বেরিয়েছি। আমার কাছে পুজোয় ঘোরাফেরা, খাওয়া-আড্ডা এগুলোই প্রাধান্য পায়। আমার কাছে কমফর্টটা ম্যাটার করে।"