সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী ১১০০ কোটির ব্যবসা করেছে 'ধুরন্ধর'। ৫ ডিসেম্বর মুক্তির পর থেকে যেভাবে ঝোড়ো ব্যাটিং করেছে, তা বলাই বাহুল্য। দেশে তথা গোটা বিশ্বে এই ছবি ঘিরে তুমুল উন্মাদনা দেখা দিলেও এই ছবি মুক্তির পরই নিষিদ্ধ হয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে। ভারত ও পাকিস্তান তথা উপমহাদেশকে এই ছবির প্রেক্ষাপট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। আর সেই পাকিস্তান বিরোধী প্রেক্ষাপট দেখানোর জেরেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে এই ছবি নিষিদ্ধ হয়েছিল। বিদেশের মাটিতে চুটিয়ে ব্যবসা করলেও শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যে নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে ঠিক কত কোটি টাকার ব্যবসা থেকে পিছিয়ে থাকল 'ধুরন্ধর'?
সুপারহিট এই ছবির ডিসট্রিবিউটর পর্ণব কাপাডিয়া জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে মুক্তিপ্রাপ্ত যে কোনও অ্যাকশন ঘরানার ছবি তুমুল সাফল্য পায়। সেক্ষেত্রে 'ধুরন্ধর' মধ্যপ্রাচ্যে মুক্তি না পাওয়ায় প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৯০ কোটির ব্যবসা থেকে পিছিয়ে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে মুক্ত পেলে অনায়াসে এই ছবি লাভ করতে পারত। তবে হ্যাঁ, একইসঙ্গে এই কথাও বলতে হয় প্রত্যেকটি দেশেরই একটা আলাদা নিয়মকানুন রয়েছে। যা মেনে চলা ও সম্মান করা অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রতিটা ঘটনার নেপথ্যেই একটি কারণ থাকে। তা মেনে চলা উচিত। তিনি আরও বলেন, "আমরাই প্রথম নই, যাদের ছবি মুক্তিতে বাধা এসেছে। এর আগে 'ফাইটার' ছবির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তবে এর মাঝেই বলতে হয় যে, সমস্ত বাধা পেরিয়ে সাফল্যের মুখ দেখেছে 'ধুরন্ধর'। চুটিয়ে ব্যবসা করেছে।"
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে বহু হিন্দি ছবি সৌদি আরব, বাহরিন, কুয়েত, ওমান, পাকিস্তানের মতো দেশগুলিতে চুটিয়ে ব্যবসা করেছে। তবে 'ধুরন্ধর' বা তার আগে 'ফাইটার'ই নয়, এর আগে এই একই গেরোয় পড়েছে ‘স্কাই ফোর্স’, ‘দ্য ডিপ্লোম্যাট’, ‘আর্টিকেল ৩৭০’, ‘টাইগার ৩’, এবং ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর মতো ছবিগুলিও।
