সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মহত্যা নয়। মেয়ে খুন হয়েছে। পাঁচ বছর পর নতুন করে মেয়ের রহস্যমৃত্যুর তদন্ত দাবি করলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের বাবা। তাঁর দাবি, মেয়ে যে আত্মহত্যা করেননি, সেটার প্রমাণও আছে তাঁর কাছে। দিশার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়ের মৃত্যুর নেপথ্যে হাত রয়েছে উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরের।

দিশার বাবা সতীশ সালিয়ান মেয়ের রহস্যমৃত্যুর তদন্ত দাবি করে নতুন করে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর দাবি, আদিত্য ঠাকরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে হবে। সতীশ সালিয়ানের বক্তব্য, "এটা একটা ষড়যন্ত্র। এর নেপথ্যে বড় কারও হাত আছে।" দিশার বাবা বলছেন, "আমার মেয়ের কিছু ছবি আমাদের কাছে আছে। ওরা বলছে ১৪ তলা থেকে পড়ে মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, অথচ তাঁর শরীরে কোনও চোট আঘাত নেই। একটা হাড়ও ভাঙেনি। মুম্বই পুলিশ একটা ভুয়ো গল্প বানিয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টও ভুয়ো।"
২০২০ সালের ১৪ জুন। মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রায় এক সপ্তাহ আগে ৮ জুন দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। মালাডের বহুতলের নিচে দিশার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। দুজনের রহস্যমৃত্যুর পর সুশান্ত ও দিশাকে নিয়ে অনেক গুঞ্জন রটেছে। দিশার মৃত্যুর নেপথ্যের কারণ কী? সে নিয়ে সেসময় বিস্তর লেখালেখিও হয়। তবে তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে সুশান্ত এবং দিশার মৃত্যুর কোনও যোগসূত্র নেই। পরে শিব সেনা নেতা আদিত্য ঠাকরের নামও জড়ায় ওই ঘটনায়।
প্রাথমিক তদন্তের উপর ভিত্তি করেই সিবিআই জানিয়ে দেয়, ১৪ তলা থেকে পড়েই মৃত্যু হয়েছে দিশার। এটি নিছকই একটি দুর্ঘটনা। পরে বিস্তারিত তদন্তের পর সিবিআই জানায়, সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজার সম্ভবত আত্মহত্যা করেছেন। কোনওভাবেই খুন হননি। তবে তাতে গুঞ্জন কমেনি। অভিযোগ ওঠে, দিশার মৃত্যুর তদন্তে মুম্বই পুলিশের গাফিলতি ছিল। আদিত্য ঠাকরেকে আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে। যদিও শিব সেনার উদ্ধব শিবিরের দাবি, এই মামলার সঙ্গে আদিত্যর কোনও যোগ নেই। অহেতুক তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। এটা বিজেপির ষড়যন্ত্র।