সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার বিনোদুনিয়ায় সাড়া ফেলে বড়সড় চমক দিয়েছে নেটফ্লিক্স। হলিউডের বিনোদুনিয়ার সবথেকে পুরনো ও জনপ্রিয় ‘ওয়ার্নার ব্রাদার্স’-এর মালিক হতে চলেছে এবার নেটফ্লিক্স এমন খবর রীতিমতো সাড়া ফেলে দেয়। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই খবর জানানো হয় জনপ্রিয় অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের তরফেই। আর তা সামনে আসার পর থেকেই যুযুধান দুই পক্ষ নেটফ্লিক্স ও প্যারামাউন্ট। ওয়ার্নার ব্রাদার্স এর মালিকানা নিতে প্রথমে প্যারামাউন্ট ৩০ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দিয়েছিল। যা স্বাভাবিকভাবেই নেটফ্লিক্সের ৭২ বিলিয়ন ডলারের থেকে অনেকাংশেই কম। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রীতিমতো দ্বন্দ্ব চলছে। প্যারামাউন্ট ও নেটফ্লিক্সের মধ্যে দর হাঁকাহাঁকি নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। এর মাঝেই এই মালিকানা বদল নিয়ে মুখ খুললেন ধনকুবের এলন মাস্ক।
এলন মাস্ক এই প্রসঙ্গে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, 'প্যারামাউন্ট ৩০ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে 'ওয়ার্নার ব্রাদার্স' কিনতে চেয়েছিল। নেটফ্লিক্স অনেক বেশি অর্থের বিনিময়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স কেনার প্রস্তাব দিলেও এরপর প্যারামাউন্ট এমন একটা দর হাঁকাবে যা বড়সড় ধাক্কা দেবে নেটফ্লিক্সকে। আর ওয়ার্নার ব্রাদার্স তখন প্যারামাউন্টকেই এর মালিকানা হস্তান্তর করতে বাধ্য হবে।' ইতিমধ্যেই প্যারামাউন্ট জানিয়েছে যে, ওয়ার্নার ব্রাদার্সের শেয়ার প্রতি যে ৩০ বিলিয়ন ডলার নগদ অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল প্যারামাউন্ট তা নেটফ্লিক্সের নগদ, স্টক ও ব্যবসার স্পিনঅফের মূল্যের দিক থেকে অনেকাংশে বেশি ছিল।' ওয়ার্নার ব্রাদার্স নেটফ্লিক্স ৭২ বিলিয়নের বিনিময়ে কিনে নিলে বিদেশের বাজারে এই সংস্থার সঙ্গে যে বিদেশের বিভিন্ন বিনোদনমাধ্যমের সঙ্গে শত্রুতা বাড়বে তার ইঙ্গিত আগেই দেওয় হয়েছিল। এবার সেই দ্বন্দ্ব নিয়ে এলন মাস্ক মুখ খোলার পর তাতে রীতিমতো মনে হচ্ছে যে তিনি এই দ্বন্দ্ব উপভোগ করছেন। দুই সংস্থার এমন বিরোধ যে কোনও বিনোদনের রসদের থেকে কোনও অংশে কম নয় সেকথা বলাই বাহুল্য। আর এই ঘটনা তাই দর্শকের মনে এক আলাদা রোমাঞ্চ তৈরি করছে সেকথাও বলাই বাহুল্য। বিশ্বজুড়ে সিনেপ্রেমীরা এখন তাকিয়ে আছে এই দ্বন্দ্বের নিরসনের দিকে।
অন্যদিকে, নেটফ্লিক্সের মুখপাত্র টেড সারানডোস এই নিয়ে বলেন, “আমরা এই পরিবর্তনের হাত ধরে বিনোদুনিয়ায় আমূল পরিবর্তন আনতে পারব বলেই আশা করব। এবার দেশ-বিদেশের নানা বিনোদনমূলক কনটেন্ট দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে পারব।” তবে সিনে বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, এই পরিবর্তনের ফলে বিদেশের বাজারে ও বিভিন্ন প্রতিযোগী সংস্থার থেকে এবার জনপ্রিয় মাধ্যম নেটফ্লিক্স নানা বাধার সম্মুখীন হতে পারে। তবে সিনেপ্রেমীরা এই পরিবর্তনের ফলে আরও নতুন ধরনের কনটেন্ট পাওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন।
