সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঁচিশের বক্স অফিসে ঝড় তুলে দিয়েছিল 'সাইয়ারা'। বলিউডে পা রাখা নতুন জুটি অহন পাণ্ডে-অনীত পাড্ডার প্রেমের মন্ত্রে কাবু হয়েছিল গোটা দেশ। এবার পঁচিশ সালের প্রথমার্ধে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমার রেকর্ড ভাঙল রণবীর সিংয়ের 'ধুরন্ধর'। আইনি জটিলতা, বিতর্ককে সঙ্গী করে ৫ ডিসেম্বর, শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আলো দেখল আদিত্য ধর পরিচালিত তথা রণবীর সিং অভিনীত এই ছবি। আর পয়লা দিনেই ব্যবসার নীরিখে টপকে গেল 'সাইয়ারা'কে।
স্যাকনিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ওপেনিং ইনিংসেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন রণবীর সিং। প্রথম দিন 'ধুরন্ধর'-এর আয় হয়েছে ২৭ কোটি। যেখানে 'সাইয়ারা' পয়লা দিনে মোটে ২১ কোটির ব্যবসা করতে পেরেছিল। রণবীরের ফিল্মিগ্রাফ দেখে প্রথমটায় সিনেবিশেজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, 'ধুরন্ধর' মেরেকেটে বড়জোর ২০ কোটি টাকার ব্যবসা করবে প্রথম দিন। তবে সেই ভবিষ্যদ্বাণী উড়িয়ে আদিত্য ধর পরিচালিত সিনেমা পয়লা দিনেই আরও সাত কোটি টাকা ক্যাশবাক্সে তুলেছে। যদিও বিগবাজেট বলিউড কিংবা দক্ষিণী সিনেমার কাছে এই অঙ্ক নস্যি, তবে এই সিনেমা যে রণবীরের মন্দা ফিল্মি কেরিয়ারের মোড় ঘোরাতে তুরুপের তাসের মতো কাজ করল, তা বলাই বাহুল্য। কারণ দীর্ঘদিন বাদে পর্দায় রণবীর সিংয়ের একক পারফরম্যান্স। আর সেই সিনেমার হাত ধরেই অতীতের 'পদ্মাবত', 'সিম্বা'র রেকর্ডও ভেঙে দিলেন রণবীর সিং।
পয়লা দিনে 'পদ্মাবত' আয় করেছিল ১৯ কোটি, যদিও পরবর্তীতে বিশ্বজুড়ে ৫৮৫ কোটি টাকার ব্যবসা করে এই সিনেমা। অন্যদিকে 'সিম্বা'র খাতা খুলেছিল ২০.৭২ কোটি দিয়ে। পরে ৩৯০ কোটির ব্যবসা হাঁকিয়ে ক্ষান্ত হয় রণবীরের এই পুলিশি ড্রামা। তেইশ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'রকি অউর রানি' ওপেনিং ইনিংসে আয় করেছিল ১১.১০ কোটি। পরবর্তীতে বিশ্বজুড়ে ৩৫৭.৫ কোটি টাকার ব্যবসা করে এই ছবি। এই তিনটি সিনেমার মুখ্য চরিত্রে ছিলেন রণবীর সিং। এবার 'ধুরন্ধর' দিয়ে বক্স অফিসে দাপুটে প্রত্যাবর্তন অভিনেতার। স্বামীর সাফল্যে গর্বিত দীপিকা পাড়ুকোনের মন্তব্য, "ধুরন্ধর দেখলাম। ৩.৩৪ ঘণ্টার সিনেমার প্রতিটা মুহূর্ত মূল্যবান। রণবীর তোমার জন্য ভীষণ ভীষণ গর্বিত আমি। গোটা টিমকে শুভেচ্ছা রইল।"
প্রসঙ্গত, কোভিডকাল থেকেই রণবীর সিংয়ের ফিল্মি কেরিয়ারে খানিক ভাঁটা পড়েছে বললে অত্যুক্তি হয় না! ‘৮৩’, ‘সার্কাস’, ‘জয়েশভাই জোয়ারদার’ কোনও ছবিই দর্শকদের মনে দাগ কাটতে পারেনি। তেইশে ‘রকি অউর রানি’ ভালো আয় করলেও ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’, ‘গদর ২’ কিংবা ‘অ্যানিম্যাল’-এর ব্যবসার ধারকাছেও ছিল না। চব্বিশ সালে রোহিত শেট্টির ‘সিংহম এগেইন’-এর ডাকসাইটে কাস্টিংয়ে রণবীর সিং থাকলেও, মুখ্য চরিত্রে থাকা অজয় দেবগণ, করিনা কাপুরই সমস্ত লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছিলেন। এদিকে ‘ডন ৩’র কাজ নিয়ে কোনও তথ্য নেই! ভারতীয় সুপারহিরো ‘শক্তিমান’কে বড়পর্দায় তাঁর নিয়ে আসার পরিকল্পনাও বিশ বাঁও জলে। এমন আবহে ‘ধুরন্ধুর’ দিয়েই যে রণবীর সিংয়ের কেরিয়ারে নতুন মাইলস্টোন যোগ হল, তা বলাই বাহুল্য।
