সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। টানা তিন দিন ধরে ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা বিপর্যস্ত হওয়ায় নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে আমজনতাকে। অভিযোগ গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ভোগান্তির শিকার হন পরিচালক কিরণ রাও নিজেও। অতঃপর সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাকে বিদ্রুপ করতেও ছাড়লেন না তিনি। এদিকে যাত্রীদের দুর্ভোগের জন্য ক্ষমাও চেয়েও রেহাই পায়নি ওই বিমান কর্তৃপক্ষ। অহরহ বিক্ষোভের শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। এমতাবস্থায় ইন্ডিগো কর্মীদের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন সোনু সুদ।
অনভিপ্রেত অভিজ্ঞতার কথা সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে আমির খানের প্রাক্তন স্ত্রী তথা 'লাপাতা লেডিজ' পরিচালক কিরণ রাও ব্যাঙ্গাত্মক সুরে লেখেন, "১১ ঘণ্টা হল বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। এতক্ষণে আমার টোকিওতে পৌঁছে যাওয়ার কথা। কিন্তু মুম্বই বিমানবন্দরের দু'নম্বর টার্মিনালে এসে যা জানতে পারলাম, তার জন্য ইন্ডিগোকে ধন্যবাদ। এখন আবার দিল্লি কীভাবে বায়ুদূষণের সঙ্গে লড়াই করছে, সেটার খবর পেলাম। দিনটা ভালোই যাচ্ছে সবমিলিয়ে, ষোলো কলা পূর্ণ একেবারে!" কিরণের সঙ্গে সহমত জানিয়ে একাংশ তুলোধনা করেছে ইন্ডিগো বিমান সংস্থাকে। এমন আবহেই সমালোচিত বিমান সংস্থার কর্মীদের পাশে দাঁড়ালেন সোনু সুদ।
সোশাল মিডিয়ায় এক ভিডিও বার্তায় সোনু জানান, "গত তিন দিন ধরে ইন্ডিগো উড়ান সংস্থার বিলম্বের কারণে যাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তাঁদের সকলের জন্য আমার একটি ছোট্ট বার্তা রয়েছে। আমার পরিবারের সদস্যদেরও বিলম্বিত উড়ানের জন্য পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। তার পর ওরা বিমান পেয়ে গন্তব্যে পৌঁছয়। কিন্তু অনেক ফ্লাইটই বাতিল হয়েছে। যার জন্যে বহু মানুষ বিয়ে কিংবা জরুরী মিটিংয়েও যোগ দিতে পারেননি। তবে বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড স্টাফদের সঙ্গে যাত্রীরা যেরকম ব্যবহার করছেন, সেটা খুবই দুঃখজনক। আমি জানি, উড়ান বাতিল হওয়া ভীষণই হতাশাজনক। কিন্তু ওই মুখগুলোর কথা মনে রাখুন যাঁরা বিষয়টি ঠিক করার চেষ্টা করছেন। কারণ কর্তৃপক্ষের দায় তো তাঁরাও বহন করছেন এবং নিজেরাও অসুবিধের সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই এমতাবস্থায় ওঁদের প্রতি একটু বিনয়ী হোন। ওঁদের পাশে দাঁড়ান।"
জানা যাচ্ছে, কেরলের তিনবনন্তপুরম বিমানবন্দরে তিনটি আন্তর্দেশীয় ও তিনটি অন্তর্দেশীয় উড়ান বাতিল হয়েছে শনিবার সকালে। অন্যদিকে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে শনিবার মধ্যরাত থেকে ভোর ৬টার মধ্যেই বাতিল হয়েছে ১৯টি উড়ান। এদিন চেন্নাই বিমানবন্দরে সকাল ৯টা পর্যন্ত বাতিল উড়ানের সংখ্যা ২৯। প্রসঙ্গত, শুক্রবার মোট একহাজারেরও বেশি উড়ান বাতিল হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংখ্যাটা ছিল ৫৫০। আশা করা হচ্ছে, শনিবার ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা ১০০০-এর নিচে নেমে আসবে। ফলে পরিস্থতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন বহু যাত্রী। এবার বিমান সংস্থার কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে সরব সোনু সুদ।
