সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের কণ্ঠে নিজের জীবন-কাহিনী বর্ণনা। সহজ কাজ তো নয়ই। কিন্তু সেই কাজই অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে সুসম্পন্ন করেছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। 'লাস্ট সানডেস ইন প্লেনস: আ সেন্টিনিয়াল সেলিব্রেশন' রেকর্ড করা হয়ে গিয়েছিল গত বছরের আগস্ট মাসে। অসাধারণ কণ্ঠস্বর আর কাজের জন্য তা মনোনীত হয় ২০২৫ সালে গ্র্যামি পুরস্কারের তালিকায়। কিন্তু তার আগে ডিসেম্বরেই ১০০ বছর ছুঁয়ে প্রয়াত হন জিমি কার্টার। রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি গ্র্যামি প্রাপকদের সঙ্গে তাঁর নাম ঘোষিত হল মরণোত্তর পুরস্কারের জন্য। দাদুর হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করতে মঞ্চে উঠে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন নাতি জ্যাসন কার্টার।
'লাস্ট সানডেস ইন প্লেনস: আ সেন্টিনিয়াল সেলিব্রেশন' বস্তুত কার্টারের নিজেরই গল্প। অনবদ্য বাগ্মিতার কারণে এর আগেও একাধিক বিষয়ে তাঁর কথন রেকর্ড করা হয়েছে। সেভাবেই ২০২৪ সালের আগস্টে রেকর্ড হয়েছিল এই কাহিনি। যাকে শব্দবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় 'অডিওবুক ন্যারেশন'। ১০০ বছর বয়সি কার্টারের সেই কর্মযজ্ঞকে শ্রদ্ধা জানানো হল গ্র্যামির মঞ্চে। কণ্ঠস্বরের জন্য মরণোত্তর গ্র্যামি দেওয়া হল। বলা হচ্ছে, বেঁচে থাকলে জিমি কার্টারই হতেন প্রবীণতম গ্র্যামিজয়ী।
রবিবারের অনুষ্ঠানে দাদুর হয়ে পুরস্কার নিতে মঞ্চে ওঠেন নাতি জ্যাসন কার্টার। দাদুকে নিয়ে তাঁর আবেগঘন বার্তায় মুহূর্তের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন দর্শকরা। জ্যাসন বলেন, ''দাদু আমার কাছে অত্যন্ত ভালোবাসার মানুষ, আমার জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাঁর রেকর্ডিং নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেছেন। এই ঘরেও অনেকে আছেন, যাঁরা আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমাদের পরিবার তো তাঁর কণ্ঠস্বর ধরে রাখার জন্য রেকর্ডিং করেছিল। তবে এই মঞ্চে তা যেভাবে বিশ্বজনীন হয়ে গেল, তা চিরকাল মনে থাকবে।''
দাদুর হয়ে গ্র্যামির মঞ্চে নাতি জ্যাসন কার্টার গ্রহণ করলেন পুরস্কার। ছবি: সোশাল মিডিয়া।
জিমি কার্টারের 'লাস্ট সানডেস ইন প্লেনস: আ সেন্টিনিয়াল সেলিব্রেশন' রেকর্ডিংয়ে যন্ত্রানুসঙ্গ পরিচালনায় ছিলেন কবীর সেহগল। তাঁকে বিশেষ করে ধন্যবাদ জানান জ্যাসন। বলেন, কবীর আমাদের পরিবারেরই একজন, দীর্ঘদিন ধরে খুব ঘনিষ্ঠ। তাই এতটা ভালোভাবে দাদুর সঙ্গে কাজ করেছে। এছাড়া রেকর্ডিংয়ের অন্যান্য শিল্পী - জন বাতিস্তে, লেঅ্যান রাইমস, দারিয়ুস রুকার - সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাতি।
