সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই নৈরাজ্য, অরাজকতা বহাল। অশান্তির আগুন এখনও থামেনি। আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। এবার পালটা পথে নেমেছেন বাংলাদেশের হিন্দু এবং সংখ্যালঘুরা। অন্তবর্তী সরকার গঠনের পরও ছাই চাপা আগুনের মতো বিশৃঙ্খলা এখনও জিইয়ে রয়েছে। এবার পদ্মাপারের হিন্দুদের উপর হওয়া আক্রমণ নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হিনা খান।
বাংলাদেশে হিন্দু, সংখ্যালঘুদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে উন্মত্ত জনতা মেতে উঠছে বিশ্রী উল্লাসে! বঙ্গবন্ধুর মূর্তিতে হাতুড়ির ঘা! জুতোর মালা, মুখে কালি…। বিভিন্ন প্রান্তে মহিলারা নিগৃহীত। দিকে দিকে আক্রান্ত হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। বাংলাদশের (Bangladesh) বিভিন্ন প্রান্তের খণ্ডচিত্র দেখে শিউড়ে উঠছে গোটা বিশ্ব। প্রশ্ন উঠছে, দেশের উন্মত্ত জনতার বিবেকবোধ নিয়ে। আদৌ কি তা জাগ্রত হবে? বন্ধ হবে এই সহিংস পথ? উদ্বিগ্ন সভ্য সমাজ। এই কঠিন সময়ে পদ্মাপারের সংখ্যালঘুদের হয়ে প্রতিবাদী আওয়াজ তুললেন হিনা খান (Hina Khan)।
সম্প্রতি হিনা খানের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। কেমোথেরাপির পর অভিনেত্রী নিজের লড়াকু অভিজ্ঞতার কথা নিরন্তর শেয়ার করে চলেছেন সোশাল মিডিয়ায়। কিন্তু ব্যক্তিগত কঠিন সময়েও প্রতিবেশী দেশের উত্তাল, অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তাঁর চোখ এড়ায়নি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু এবং হিন্দুদের উপর হওয়া অত্যাচার, নির্যাতনের ছবি দেখে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাঁর কপালেও। ছিল ছাত্র আন্দোলন। হল গণ অভ্যুত্থান। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর আন্দোলনকারী ছাত্রদের দাবি মেনে সেদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনুস। এদিকে ওপার বাংলার সংখ্যালঘু, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর একের পর এক হামলার অভিযোগ উঠছে। এতেই মন কাঁদছে অভিনেত্রীর। হিনার মন্তব্য, "এটা খুব অন্যায়।"
[আরও পড়ুন: নীরজ চোপড়ার বায়োপিকে অভিনয় করুন শাহরুখ, আবদার সোনাজয়ী পাক জ্যাভলিন থ্রোয়ার নাদিমের]
ঠিক কী বলছেন হিনা খান? অভিনেত্রী মন্তব্য, "জাত-ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটা নিরাপরাধ মানুষের মৃত্যু আসলে মানবতার মৃত্যু। এহেন ভয়ানক জঘন্য ঘটনার শিকার হওয়া যে কোনও সম্প্রদায়ের পক্ষেই কাম্য নয়। যে কোনও দেশেই তাদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ আদতে তাদের সৌজন্যবোধ, একতার প্রতীক। গোটা বিশ্বে যে বা যারা এহেন কষ্ট পাচ্ছেন, তাদের সকলের জন্য আমি ব্যথিত। কারণ আমার কাছে মানবতাই পরম ধর্ম। প্রার্থনা করছি, নিজের দেশ বাংলাদেশে যেন সমস্ত হিন্দু এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়রা সুরক্ষিত থাকেন।"