সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওসমান হাদির মৃ্ত্যুর পর থেকেই জ্বলছে বাংলাদেশ। এমন আবহে দীপু দাসের নারকীয় হত্যাকাণ্ড কাঁপন ধরিয়েছে গোটা বিশ্বে। হিন্দু যুবককে গণপিটুনি দিয়ে খুনের পর পোড়া মুণ্ডু ও ধড় নিয়ে 'মৌলবাদী পশু'দের উল্লাস দেখে স্তম্ভিত সভ্য সমাজ! নারকীয় এই ঘটনা নিয়ে এবার ইউনুস সরকারকে সরাসরি তোপ দাগলেন জাহ্নবী কাপুর (Janhvi Kapoor on Bangladesh)।
সম্প্রতি মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিলেন, দীপু দাসের হত্যাকাণ্ড একটি 'বিচ্ছিন্ন ঘটনা'। তার প্রেক্ষিতেই 'বর্বরতার বাংলাদেশ' নিয়ে গর্জে ওঠেন জাহ্নবী কাপুর। অভিনেত্রীর মন্তব্য, বাংলাদেশে যা ঘটছে সেটা বর্বরতা। দীপু চন্দ্র দাসের হত্যাকাণ্ড কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গণপিটুনির দিয়ে কী অমানবিকভাবে ওকে খুন করা হয়েছে। সেটা যদি আপনারা না জানেন, তাহলে পড়ুন। জানুন, ভিডিওগুলি দেখুন এবং প্রশ্ন করুন। আর এসব ঘটনা দেখেও যদি আপনাদের বোধদয় না হয়, তাহলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আপনাদের ভণ্ডামির জন্য সব ধ্বংস হয়ে যাবে। এখানেই অবশ্য থামেননি অভিনেত্রী।
হোমবাউন্ড নায়িকা জাহ্নবীর সংযোজন, "আমাদের ভাইবোনদের পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। গোটা বিশ্বকে যখন এহেন সন্ত্রাস গ্রাস করবে, তখন কিন্তু আমরা কেঁদেও কূল পাব না। তাই পৃথিবীর বুক থেকে মানবতা মুছে যাওয়ার আগেই যে কোনওরকম উগ্রবাদকে গুঁড়িয়ে দিন।" কয়েক দিন ধরেই ইউনুসের দেশের 'কাণ্ড-কারখানা' পরখ করে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল। পদ্মাপাড়ের এহেন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে এবার সরব হলেন জাহ্নবী। এর আগে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে 'ভার্চুয়াল' প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন কাজল আগরওয়াল, পবণ কল্যাণ, মুনাওয়ার ফারুকী-সহ আরও অনেকে। ধর্মের নামে দীপু দাসের নারকীয় হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদী গান বেঁধেছেন নেহা, টনি কক্কর।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির। এই ঘটনার পরই ভয়ংকর হিংসা ছড়ায় গোটা বাংলাদেশে। এরই রোষ গিয়ে পড়ে দীপু নামে ওই সংখ্যালঘু হিন্দু যুবকের উপর। ময়মনসিংহের মোকামিয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা দীপু গত দু’বছর ধরে ভালুকার একটি কারখানায় কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ কারখানায় হঠাৎ একদল বিক্ষোভকারী চড়াও হন। চলে ভাঙচুর। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, টেনে হিঁচড়ে কারখানার বাইরে বের করে আনা হয় দীপুকে। তারপর গণপিটুনি দেওয়া হয় তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দীপুর। এরপর তাঁর দেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নিয়ে যায় বিক্ষুব্ধ জনতা। গাছে বেঁধে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। সঙ্গে চলে স্লোগান। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত সভ্য সমাজ।
