সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদে বেড়ে উঠেছেন বা পড়াশোনা করতে বা কাজের সূত্রে গিয়েছেন যাঁরা তাঁরা হায়দরাবাদের বিখ্যাত রামোজি ফিল্ম সিটি যে ভূতুড়ে হিসাবে পরিচিত এই বিষয় অনেকেই জানেন। আর অভিনেত্রী কাজল নিজেও যে তা বিশ্বাস করেন এবার তা বোঝা গেল কাজলের এক সাক্ষাৎকারে। নিজের নতুন ছবির প্রচারে এসে কাজল অশরীরীর উপস্থিতি টের পাওয়ার কথা ভাগ করে নেন।
সম্প্রতি নিজের হরর ছবি 'মা' নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে কাজল কি কখনও ভূতুড়ে কোনও ব্যাপার উপলব্ধি করেছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে কাজল বলেন, " আমি বহুবার এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি। সেটাকে নেগেটিভ ভাইবস বলুন বা যাই বলুন এমন অনেক জায়গাই আছে যেখানে গেলে আপনি এমন একটা কিছু টের পাবেন যা বেশ অস্বাভাবিক লাগবে আপনার। আমি এরকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি অনেকবার। এরকম অনেক জায়গাতে শুটিং করেছি যেখানে শুটিং করার পর আমি রাতে ঘুমাতে পারিনি। মনে হয়েছে আমি যদি সেই জায়গাটা তক্ষুণি ছেড়ে বেরোতে পারতাম তবেই ঠিক হত।"
এরপরই ভূতুড়ে জায়গার উদাহরণ দিতে গিয়ে কাজল রামোজি ফিল্ম সিটির উদাহরণ টেনে নিয়ে আসেন। বলেন, "এরকম জায়গার একটা বড় উদাহরণ হল রামোজি ফিল্ম সিটি। যেটা বিশ্বের সবথেকে বড় ভূতুড়ে জায়গাগুলির মধ্যে একটি। তবে আমি ভীষণ ভাগ্যবতী যে আমি কখনও তেনাদের নিজের চোখে দেখিনি।" ব্যস রামোজি ফিল্ম সিটি নিয়ে কাজলের এই মন্তব্যের পরই চটে যান নেটিজেনরা।
ওই সাক্ষাৎকার ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয় আর তাতেই নেটিজেনরা অভিনেত্রীকে ট্রোল করে লেখেন, 'মানে কিছু একটা বলে দিলেই হল? বলার আগে ভাবুন কী বলছেন?' কেউ আবার লিখেছেন, " সম্মানীয় কাজল যদি সত্যিই রামোজি ফিল্ম সিটি ভূতুড়ে জায়গা হত তাহলে প্রতি বছর এত মানুষ এখানে বেড়াতে আসতেন না। এটি হায়দরাবাদের ঐতিহ্যবাহী জায়গাগুলোর মধ্যে একটা এটা মাথায় রাখবেন।" তবে নেটিজেনদের রোষের মুখে কাজলকে সমর্থন করে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। লিখেছেন, 'কেন কাজলকে এভাবে ট্রোল করা হচ্ছে বুঝছি না। এটি ঐতিহ্যবাহী একটা ফিল্মসিটি অবশ্যই কিন্তু কাজলের কথাও ফেলে দেওয়ার নয়। অনেকেই এরকম অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন সেখানে।'
