সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করাচির রেভ পার্টিতে করিনা কাপুর (Kareena Kapoor)! দুই প্রতিবেশী দেশের শিল্পীদের যখন একে-অপরের মুলুকে অবাধ বিচরণে ভাঁটা পড়েছে, তখন পাকিস্তানের নিশিঠেকে বেবোর উপস্থিতির কথা জেনে অনেকেই হতবাক হতে পারেন। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে সম্প্রতি তেমনই কাণ্ড ঘটিয়েছেন পাক মুলুকের ডিজে হামজা হ্যারিস নামে। আর নেটপাড়ায় তিনি নিজে সেই ভিডিও ফাঁস করতেই নিন্দার ঝড়! ভারতের প্রথম সারির নায়িকার এহেন কুৎসিত এআই ভিডিও দেখে মারাত্মক চটেছেন ভারতীয় নেটিজেনরা।
নেটপাড়ার অভিযোগ, একে তো করিনা কাপুরকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যিনি ভারতের স্বনামধন্য ফিল্মি পরিবারের মেয়ে হওয়ার পাশাপাশি ভোপালের শেষ বেগম উপরন্তু নিজেও একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। উপরন্তু, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার কী হত-কুৎসিত প্রয়োগ! বেবো দশগুণ সুন্দরী দেখতে...! এহেন নানা অভিযোগে সরগরম নেটপাড়া। ভিডিওর শুরুতেই স্ক্রিনে একটি লাইন ভেসে ওঠে। যেখানে লেখা- 'তুমি পাকিস্তানের করাচির রেভ পার্টিতে রয়েছো এবং করিনা কাপুর তোমার সামনে নাচছেন...।' স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় কন্যার অপমানে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে নেটিজেনদের মনে। অতঃপর প্রতিবেশী দেশের ওই ডিজেকে পালটা কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি কেউ। তাঁদের মন্তব্য, 'করিনা তোমাদের সামনে নাচা শুরু করেছেন- এর অর্থ কী? আমাদের ঘরের মেয়েকে এমন 'নাচনেওয়ালি'র মতো উপস্থাপন করছেন কেন?' প্রতিবাদের ঝড় নেটদুনিয়াজুড়ে। কেউ কেউ আবার হামজা হ্যারিসকে ওই এআই ভিডিও মুছে ফেলারও দাবি করেছেন। তাঁদের মত, এই অ্যানিমেশনটা বড্ড খারাপ। দেখে মনে হচ্ছে বেবো কাজে বেরচ্ছেন। সৃজনশীলতার লেশমাত্র নেই আপনাদের মধ্যে। কেউ বা আবার সতর্ক করে দিলেন, করিনা দেখার আগেই ডিলিট করুন, নইলে মুশকিল আছে। তবে এত কটাক্ষ সত্ত্বেও ওই ভিডিও সরাননি পাক মুলুকের ডিজে। করিনা যদিও এবিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
'উরি' হামলার পর থেকেই পাকিস্তানের শিল্পীরা ভারতে নিষিদ্ধ। পাঠানকোট কাণ্ডের পর থেকে সেই নিষেধাজ্ঞায় আর কড়াকড়ি। তবে সুপ্রীম কোর্টের রায়ে শাপমোচন ঘটলেও তার পর আর সেভাবে কোনও পাক শিল্পীকে এদেশের সিনেজগতে কাজ করতে দেখা যায়নি। বলিউডে একসময়ে চুটিয়ে কাজ করেছেন রাহাত ফতেহ আলি খান, আতিফ আসলাম থেকে ফাওয়াদ খান, মাহিরা খানের মতো একাধিক শিল্পীরা। তবে বছর খানেক ধরে বলিউডের ফিল্ম সংগঠনের কড়া নির্দেশে পাকশিল্পীদের প্রবেশ এদেশে নিষিদ্ধ। তার পর থেকেই পাক নাগরিকরা নানাভাবে বলিউডের খান-কাপুরদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছেন। তবে মনে ভারত বিদ্বেষ থাকলেও বিনোদনের জন্য সেই ভারতীয় তারকা এবং বলিউডের সিনেমা-সিরিজের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে পাকিস্তানিদের, এমনটাই দাবি ভারতীয় নেটিজেনদের।
