সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক তাঁর নিত্যসঙ্গী। অভিনেত্রীর পরিচয় পেরিয়ে এখন তিনি সাংসদ। জনপ্রতিনিধি হিসেবেও তাঁর নানা মন্তব্য কেড়ে নিয়েছে সংবাদের শিরোনাম। বলা হচ্ছে বলিউডের 'কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন' কঙ্গনা রানাউতের কথা। এবার তিনি বড়সড় আইনি প্যাঁচে পড়তে চলেছেন। গীতিকার জাভেদ আখতারের দায়ের করা মানহানির মামলায় দিনের পর দিন আদালতে গরহাজির কঙ্গনা। এবার তাঁকে 'শেষ সুযোগ' দিল আদালত। এরপর উপস্থিত না হলে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হবে। তাতে তাঁর গ্রেপ্তারির সম্ভাবনাই বেশি। সাফ জানিয়ে দিয়েছে মুম্বইয়ের আদালত।
বলি-ক্যুইন কঙ্গনার বিরুদ্ধে জাভেদ আখতারের এই মামলা প্রায় ৫ বছরের পুরনো, ২০২০ সালের। সেবছর তরুণ অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশেই। আত্মহত্যা না খুন - সেই মীমাংসা আজও হয়নি। সেই উত্তাল সময়ে 'নানা মুনির নানা মত' নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় বিস্তর কাটাছেঁড়া হয়েছিল। তবে সবাইকে ছাপিয়ে যায় কঙ্গনার বিস্ফোরক বক্তব্য। সুশান্ত সিং রাজপুত বলিউডের স্বজনপোষণ বা 'নেপোটিজম'-এর শিকার, এমন মতপ্রকাশ করে কঙ্গনা দায়ী করেছিলেন বিশিষ্ট গীতিকার, দেশের অন্যতম সম্মানিত শিল্পী জাভেদ আখতারকে। দোষারোপ করতে গিয়ে দুজনের গোপন এক সাক্ষাৎকারের কথা প্রকাশ্যে এনে যা যা মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা, তা যথেষ্ট অসম্মানজনক বলে মনে করেন বর্ষীয়ান সুরকার। আর তারপরই তিনি মানহানির মামলা করেছিলেন।
মুম্বই আদালতে সেই মামলায় একে একে ৪০টি দিন মামলার শুনানিতে যাননি কঙ্গনা। ফলে শুনানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মঙ্গলবারও শুনানির দিন ছিল। তাঁর আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি আদালতে জানান, সংসদীয় কাজে ব্যস্ত অভিনেত্রী। আদালতে হাজির হওয়া সম্ভব নয়। তা শুনে জাভেদ আখতারের আইনজীবী জয় কে ভরদ্বাজ পালটা আপিল করেন, আদালতের গুরুত্বপূর্ণ ৪০ টি দিন নষ্ট করেছেন সাংসদ-অভিনেত্রী। তাই তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হোক। সওয়াল-জবাবের পর বিচারক জানিয়ে দেন, কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। অন্যথায় গ্রেপ্তারি এড়ানো কঠিন হবে তাঁর। যদিও এনিয়ে এখনও অভিনেত্রীর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
