সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যতিথিতে বুধবার বঙ্গোপসাগরের সৈকতভূমিতে জগন্নাথধামের দ্বারোদঘাটন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দিঘায় একদিন আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন বাংলা গ্ল্যামারদুনিয়ার তারকারা। জগন্নাথদেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন ইমন চক্রবর্তী, জিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়, অদিতি মুন্সিদের পাশাপাশি গান গেয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মাতিয়ে দেন নচিকেতা চক্রবর্তীও। শ্রীক্ষেত্র দিঘায় জগন্নাথধাম উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী থাকতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত গায়ক।
সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজের অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে নচিকেতার মন্তব্য, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিহাস তৈরি করলেন। আর সেই ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত। আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়তো এই মন্দির দেখতে আসবে, তখন তাদের বুক ঠুকে বলতে পারব, এক ঐতিহাসিক উদ্বোধনের সাক্ষী ছিলাম।" পরনে কালো কুর্তা-পাজামা। গলায় লাল উত্তরীয়। আর প্রখর রোদের জন্য সঙ্গী নীল-সাদা ডুরের গামছা। বুধবার দিঘায় জগন্নাথধামের উদ্বোধনে এমন অবতারেই দেখা গেল নচিকেতা চক্রবর্তীকে। আচার-অনুষ্ঠানের অবসরে মন্দিরের চাতালে কখনও বা আবার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে আড্ডা দিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের সৌন্দর্যের প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ নচিকেতা। রাজস্থানের গোলাপি বেলেপাথর দিয়ে তৈরি এই মন্দির। রাজস্থান থেকে অন্তত ৮০০ কারিগর দিঘায় এসে এই মন্দির নির্মাণ করেছেন। কালো পাথরের বেদিতে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার মূর্তি। নতিকেতা বলছেন, "ছিমছাম হলেও চোখ জুড়িয়ে যাবে দর্শনার্থীদের।" মন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট অতিথিদের এই চা-চক্রে বাংলা-মুম্বইয়ের শিল্পীরা যেমন ছিলেন, তেমনই ছিলেন কবি-সাহিত্যিক, বণিকসভা ও ময়দানের ক্রীড়াকর্তারাও। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দেখা গেল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। দেব, জুন মালিয়া, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, লাভলি মৈত্র, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, রূপঙ্কর বাগচি, শ্রীকান্ত মোহতা, অরিন্দম শীল, নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ রয়েছেন দিঘায়।
