সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে লিভ-ইন। তার পর বিয়ে। কোভিডকালে ছিমছাম করে বিয়ে করেছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া ও নাতাশা স্ট্যানকোভিচ। গত বছর ভ্যালেন্টাইনস ডে'র দিন আবারও সেজেগুজে আনুষ্ঠানিক বিয়ে সারেন। আচমকাই ছন্দপতন হয়। চলতি বছরের জুলাই মাসে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন হার্দিক-নাতাশা। কিন্তু বিচ্ছেদের পরও হার্দিককে নিজের পরিবারের অংশ মনে করেন নাতাশা। সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছেন এই কথা।
হার্দিকের সংসার ছাড়ার পরই ছেলে অগস্ত্যকে নিয়ে সার্বিয়া চলে যান নাতাশা। মনে করা হয়েছিল, হয়তো সেখানেই ছেলেকে নিয়ে থাকবেন সার্বিয়ান নায়িকা। কিন্তু নিজের সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে নাতাশা জানান, তিনি এদেশেই থাকবেন। কারণ ছেলে অগস্ত্যর স্কুল এখানে। তাঁর বলিউড কেরিয়ারও রয়েছে। নাতাশা মনে করেন, এখনও তিনি, হার্দিক ও অগস্ত্য একই পরিবারের অংশ। ছেলের মা-বাবা হিসেবে তাঁদের তো একটা দায়িত্ব রয়েছে।
ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে ‘পাণ্ডিয়া’ পদবি সরিয়েছিলেন নাতাশা। হার্দিকের সঙ্গে নিজের সমস্ত ছবিও ডিলিটও করে দেন তিনি। এতেই নতাশা ও হার্দিকের বিচ্ছেদের জল্পনা জোরদার হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে কিছু না বললেও ১৮ জুলাই যৌথ বিবৃতিতে হার্দিক-নাতাশার পক্ষ থেকে লেখা হয়, ‘চার বছর একসঙ্গে থাকার পর নাতাশা ও আমি আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একত্রে থাকার সমস্ত রকম চেষ্টা করেছিলাম আমরা।’
বিচ্ছেদের পর নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে নাতাশা জানিয়েছিলেন, হার্দিক খুবই আত্মকেন্দ্রিক মানুষ। নিজেকে ছাড়া কিচ্ছু বোঝে না। বহুবার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষমেশ আর পারেননি। হার্দিক নাকি বউ-বাচ্চাকে সময়ও দিতেন না। এমন মানুষের সঙ্গে থাকাটা বেশ কঠিন। কিন্তু সময় বোধহয় তিক্ততার প্রভাব কিছুটা কমিয়েছে। তাই তো হার্দিককে এখনও নিজের পরিবারের অংশ বলেই মানেন নাতাশা।