সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: মানুষ চলে যায়, রয়ে যায় স্মৃতি। এই স্মৃতি সম্বল করেই বেঁচে থাকা। সুরসিক মানুষ ছিলেন মনোজ মিত্র, জানালেন দীপঙ্কর দে। বাংলা নাট্যজগতের জ্যোতিষ্ককে কুর্নিশ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। স্যরকে হারালেন দুলাল লাহিড়ী।
মনোজ মিত্রর প্রয়াণ তাঁর কাছে বেদনাদায়ক। সেকথা জানিয়ে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের প্রতিনিধি শম্পালী মৌলিককে দীপঙ্কর দে বলেন, "সুরসিক মানুষ ছিলেন। 'বা্ঞ্ছারামের বাগান'-এর শুটিংয়ের সময় আউটডোরে অনেকদিন ছিলাম। আড্ডাবাজ মানুষ ছিলেন, গল্প করতে ভালোবাসতেন। তাঁর অনেক নাটক দেখেছি এবং তাঁর সঙ্গে বিদেশেও নাটক করতে গিয়েছি একসঙ্গে। আরও দুই নাট্যব্যক্তিত্ব ছিলেন সৌমিত্র মিত্র, মেঘনাদ ভট্টাচার্য। এঁদের নিয়ে 'মুন্নি ও সাত চৌকিদার' নাটকটি করতে গিয়েছিলাম। অত্যন্ত সুভদ্র ও সুরসিক মানুষ ছিলেন। অনেক ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছি। যেমন 'গণশত্রু'...ওনার চলে যাওয়াটা বড় বেদনাদায়ক।
সোশাল মিডিয়ায় মনোজ মিত্রর ছবি শেয়ার করে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত লেখেন, 'বিদায় কিংবদন্তি মনোজ মিত্র, বাংলা নাট্যজগতের এমন জ্যোতিষ্ক যাঁর শিল্পদক্ষতা ও গভীরতা অসংখ্য মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে। এই উত্তরাধিকার তাঁর অবিস্মরণীয় অভিনয় কালজয়ী গল্পের মাধ্যমে বেঁচে থাকবে। শান্তিতে বিশ্রাম করুন, মায়েস্ত্রো।'
'স্যর' মনোজ মিত্রকে হারিয়ে শোকবিহ্বল দুলাল লাহিড়ী। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিনেতা বলেন, "যে মানুষটার জন্য এই বাইট দিতে পারছি, সেই মানুষটা আজকে চলে গেল। স্যর মনোজ মিত্র চলে গেলেন। এটা তো শুধু তাঁর চলে যাওয়া নয়, সাথে সাথে আমার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেল। যেখানেই উনি যান, ভালো থাকুন। আজকে শধু অভিভাবকহীন নয় প্রাণহীন একটা জড় পদার্থে পরিণত হলাম। এই মুহূর্তে স্যরের আত্মার শান্তি কামনা ছাড়া আমি কীইবা করতে পারি?"
জানা গিয়েছে, সল্টলেকের ক্যালকাটা হার্ট ইন্সিটিউট থেকে শিল্পীর দেহ প্রথমে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর 'সুন্দরম' নাট্যসংস্থার অফিসে। বেলা তিনটে থেকে দেহ শায়িত থাকবে রবীন্দ্রসদনে। সেখানে মনোজ মিত্রকে গানস্যালুট দেওয়া হতে পারে বলেই খবর। শিল্পীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘প্রখ্যাত নট, নাট্যকার ও পরিচালক, ‘বঙ্গবিভূষণ মনোজ মিত্র’র প্রয়াণে শোকাহত হলাম। বাংলা থিয়েটার ও চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য। তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও অনুরাগীদের সমবেদনা জানাই।’