সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিরণ রাওয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে কখনও সেভাবে মুখ খুলতে দেখা যায়নি আমির খানকে। যখনই এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, নয় এড়িয়ে গিয়েছেন, নয় তো শুধুই বন্ধুত্বের কথা বলেছেন। তবে এবার ডিভোর্সের আসল কারণ সামনে আনলেন আমির। তাও আবার প্রাক্তন স্ত্রী পরিচালক কিরণ রাওয়ের সামনেই!
ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। সম্প্রতি হলিউড রিপোর্টার ম্যাগাজিনে কিরণ ও আমিরের একটি সাক্ষাৎকারে প্রকাশ পায়। সেখানেই আমির, কিরণের সঙ্গে তাঁর বর্তমান সম্পর্ক এবং ডিভোর্স নিয়ে খুল্লমখুল্লা কথা বলেন। আমির বলেন, ''এই বিচ্ছেদ আমাদের সম্পর্কে কোনওরকম প্রভাব ফেলেনি। ব্যক্তিগতভাবেও নয়, কাজের দিক থেকেও নয়। বরং আমাদের দুজনকে অনেকটাই অন্যরকমভাবে জীবনটা দেখতে শিখিয়েছে। আমরা আগেও দারুণ বন্ধু ছিলাম, এখনও দারুণ বন্ধু রয়েছি। হ্যাঁ, স্বামী,স্ত্রী হিসেবে হয়তো আলাদা হয়েছি। তবে আমাদের আন্তরিক যোগাযোগ একইরকম রয়েছে। যা কিনা আমরা দুজনেই খুব এনজয় করি। আর এই ধরনের সম্পর্কই আমাদের সবকিছুর ভিত।''
ব্যক্তিগত ব্য়াপারে খুব একটা মুখ খুলতে দেখা যায় না আমির খানের প্রাক্তন পত্নী কিরণ রাওকে। তবে বিবাহ বিচ্ছেদের পরেও, আমির যে তাঁর খুব ভালো বন্ধু, তা কিন্তু বার বার স্বীকার করেছেন আমির খান। তবে এবার ডিভোর্স নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন কিরণ। স্পষ্ট জানালেন, আমিরের সঙ্গে ডিভোর্সের পর কতটা ভালো আছেন তিনি।
সম্প্রতি এক ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিরণ জানিয়েছেন, ”আমার কাছে এই ডিভোর্স খুবই খুশির।” কিরণের মতে, ”আমি মনে করি, যত সময় এগিয়ে যায়, সম্পর্কগুলো বদলে যেতে থাকে। কারণ, আমরা মানুষ হিসেবে অল্প অল্প করে বদলাতে থাকি। সেই বদলে যাওয়ার প্রভাবও পড়ে আমাদের সম্পর্কের উপর।”
কিরণ আরও জানান, ”আসলে আমার আর আমিরের পছন্দের মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। যতদিন গিয়েছে, সেটা বুঝতে পেরেছি। তবে আমাদের বন্ধুত্ব অটুট। সেটায় কখনও কোনও ছেদ পড়বে না। তাই বিবাহে বিচ্ছেদ হলেও, বন্ধুত্বে বিচ্ছেদ নেই।”
২০০২ সালে আমির তাঁর প্রথম স্ত্রী রিনা দত্তের (Rina Dutta) সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেন। তারপর ২০০৫ সালে পরিচালক কিরণ রাওকে বিয়েও করেন আমির। লগান (Lagan) ছবির শুটিং ফ্লোরেই কিরণ রাওয়ের সঙ্গে আমিরের আলাপ। এই ছবিতে কিরণ রাও ছিলেন সহপরিচালক। ২০১১ সালে সারোগেসির আমির-কিরণের সংসারে আসে ছেলে আজাদ। রিনার সঙ্গেও আমির ছেলে জুনেইদ ও মেয়ে ইরা রয়েছেন।
বিচ্ছেদের খবর জানিয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে কিরণ রাও এবং আমির খান জানিয়ে ছিলেন, ”এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নয়। আমরা বহুদিন আগে থেকেই আলাদা হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তা করছিলাম। শুধু সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তবে এই সিদ্ধান্ত আমাদের সন্তান আজাদের উপর কোনওভাবেই প্রভাব পড়বে না। আমরা দু’জনেই আজাদকে বড় করে তুলব। একসঙ্গে ছবি ও পানি ফাউন্ডেশনের কাজ করব। আমাদের বন্ধু, আত্মীয়-পরিজনকে ধন্যবাদ আমাদের পাশে সব সময় থাকার জন্য। এই সময়টাতেও আপনাদের আর্শীবাদ ও শুভেচ্ছা চাই। এই বিবাহবিচ্ছেদকে কখনই শেষ হিসেবে নয়, বরং নতুন শুরু হিসেবে দেখার অনুরোধ করছি।”