সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর মহাকাল জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন নুসরত বারুচা। কপালে চন্দনের তিলক দিয়ে পবিত্র ভষ্ম আরতিতে অংশ নেন অভিনেত্রী। আশীর্বাদস্বরূপ মন্দিরের পুরোহিতদের থেকে এতটি চাদরও উপহার পেয়েছেন তিনি। আর সোশাল পাড়ায় সেসব আধ্যাত্মিক মুহূ্র্ত দেখিয়েই মহাবিপাকে পড়েছেন নুসরত! লাগাতার কটাক্ষ, সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে।
মৌলবীরা প্রশ্ন তুলেছেন, 'মুসলিম হয়েও কেন মহাকাল মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছেন?' হিন্দুত্ববাদীরাও সেই একই প্রশ্ন তুলেছেন নুসরত বারুচার উদ্দেশে। সবমিলিয়ে অভিনেত্রীর বর্তমানে 'শাঁখের করাত' পরিস্থিতি। নতুন বছর শুরুর আগে পুজোপাঠের মধ্য দিয়ে শান্তির খোঁজ করতে গিয়েছিলেন নুসরত। তবে মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়ে তাঁর মহাকাল মন্দিরে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি মৌলবীরা। অতঃপর অভিনেত্রীর আধ্যাত্মিক বিশ্বাস এবং ধর্মীয় দর্শন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। জনৈক মৌলবী নুসরতের এহেন পুজোপাঠকে 'গুরুতর পাপ' বলে আখ্যা দিয়েছেন।
এপ্রসঙ্গে সর্বভারতীয় মুসলিম জামাতের জাতীয় সভাপতি মৌলানা শাহাবুদ্দিন রাজভি বেরেলভির মন্তব্য, "শরিয়া আইন অনুসারে পুজো করা এবং হিন্দুদের মতো কপালে চন্দন লাগানো গুরুতর পাপ। এই ধরনের কর্মকাণ্ড ইসলামের মৌলিক নীতির পরিপন্থী। যাকে হারাম বলা হয়।" এখানেই শেষ নয়! পাশাপাশি প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য নুসরত বারুচাকে তাঁর পরামর্শ, "কলমা পাঠ করুন।"
উল্লেখ্য, নুসরত বরাবরই সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাসী। মাসখানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, "মন্দির, মসজিদ বা গির্জা যেখানেই হোক না কেন, উপাসনালয়ে শান্তি খুঁজে পাওয়ায় বিশ্বাসী আমি। আমার কাছে, আমার বিশ্বাস বাস্তব। এটাই আমাকে আরও শক্তিশালী করে।" এবার মহাকাল মন্দিরে পুজো দিয়ে ধর্ম ধ্বজাধারীদের রোষানলে পড়তে হল অভিনেত্রীকে।
