সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির আঁচ বিনোদুনিয়াতেও। ভারতের শিল্পীরা যেমন প্রতিবেশী দেশের সিনেমায় অভিনয় করেছেন, তেমনই পদ্মাপাড়ের শিল্পীকে দেখা গিয়েছে টলিউড ছবিতে। এপার বাংলায় সেদেশের তারকাদের গুণমুগ্ধের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তবে বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমান ভারতবিদ্বেষী মনোভাবে সেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আঁচড় পড়েছে বললে অত্যুক্তি হয় না। অনিশ্চয়তার খাঁড়া ঝুলছে বহু ছবির উপর। এরকমই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন পাওলি দামও (Paoli Dam)। বাংলাদেশে একটি সিনেমার শুটিং অসমাপ্ত রেখেই ভারতে ফিরতে হয়েছে অভিনেত্রীকে।
জুন-জুলাই মাসের কথা। সেই সময়ে ছাত্র অন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। সেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতেই পদ্মাপাড়ে 'নীল জ্যোৎস্না' ছবির শুটিং করছিলেন পাওলি দাম। তখন কাজ শেষ না করেই কোনওমতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। এক সংবাদমাধ্যমের কাছে পাওলি জানিয়েছেন, "বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে অনেকগুলো কাজ হয়েছে এদেশে। আগামীতেও সেরকম বহু কাজ হতে পারত। আমি নিজেও 'নীল জ্যোৎস্না' ছবির শুটিং করছিলাম জুন-জুলাই মাসে। তবে উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে শুটিং ফেলেই দেশে ফিরতে হয়েছে। এখনও তিন চার দিনের কাজ বাকি।"
উত্তাল পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের যাতায়াত কার্যত বন্ধ। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন পাওলি দাম। অভিনেত্রীর সংযোজন, "মানুষ খারাপ রয়েছে শুনে কোনও সংবেদন শিল্পীই ভালো থাকতে পারে না। সে বাংলাদেশ হোক বা সিরিয়া। মানুষ কেন খারাপ থাকবেন? এই প্রশ্নটাই সবসময়ে রয়ে যায়। আমরা সকলেই দেখছি, বুঝতে পারছি, কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। দুই দেশের ব্যবসার উপরও এই পরিস্থিতি গভীর প্রভাব ফেলেছে। আমাদের ভাষাও এক। যত দ্রুত এই অবস্থান পরিবর্তন হবে, সকলের জন্য মঙ্গলের।" উল্লেখ্য, পাওলির 'নীল জ্যোৎস্না' নামক ছবিটি প্যারাসাইকোলজির গল্প নিয়ে আবর্তিত।
দুই বাংলার ভাষা এক হলেও প্রতিবেশী দেশের বর্তমান সংস্কৃতি, রুচিবোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এমতাবস্থায়। কারণ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশে। লাগাতার সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের খবর আসছে। সেই আবহেই জেলবন্দি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে তোলপাড় ভারত। মৌলবাদীদের কণ্ঠে বারবার হুমকির সুর। মুছে দেওয়া হচ্ছে 'জয় বাংলা' স্লোগান। ধ্বংসস্তূপ শেখ মুজিবুর রহমানের বহু মূর্তি। বাংলাদেশের এহেন চিত্র ভাবিয়ে তুলেছে সংস্কৃতিমহলকে।