সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান বিরোধী তকমার দায়ে পাক মুলুক-সহ মধ্যপ্রাচ্যের ছয় দেশে মুক্তির আলো দেখেনি 'ধুরন্ধর'। তবে নিষিদ্ধ হলেও বলিউড সিনেমা দেখা থেকে আটকানো যায়নি পাক নাগরিকদের! খবর, প্রতিবেশী দেশে রমরমিয়ে চলছে 'ধুরন্ধুর'-এর পাইরেটেড ভার্সন। যা কিনা পাক মুলুকে দেখা সবথেকে বেশি বলিউড ছবির বিগত দু'দশকের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে! এমন আবহেই রণবীর সিংয়ের জন্মপরিচয় সংক্রান্ত এক 'বিস্ফোরক তথ্য' ভাইরাল।
'ধুরন্ধর' ছবিতে পাকিস্তানের প্রাচীন শহর লিয়ারির গ্যাংস্টারদের বাড়বাড়ন্ত এবং এক ভারতীয় গুপ্তচরের সেই গোষ্ঠীগুলিকে নিকেশ করার কাহিনি তুলে ধরেছেন পরিচালক আদিত্য ধর। কীভাবে রণবীর সিং অভিনীত 'হামজা আলি' সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে স্বেচ্ছায় নিজেকে জড়িয়ে গ্যাংস্টারদের নিকেশ করেছিল? সেই 'মিশন'ই বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়োচ্ছে। বক্স অফিসের ঝকঝকে মার্কশিটই তার প্রমাণ। এহেন গগনচুম্বী সাফল্যের মাঝেই জানা গেল, রণবীর সিংয়ের পূর্বপুরুষরা আদতে পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা। কিন্তু কীভাবে আরবসাগরের তীরে এল অভিনেতার পরিবার? 'ধুরন্ধর' আবহে 'ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ল বিড়াল'!
'ধুরন্ধর'-এর দৃশ্যে রণবীর সিং (ছবি- সংগৃহীত)
অভিনেতার আসল নাম যে রণবীর সিং ভাবনানি, সেকথা অনেকেরই জানা। ১৯৮৫ সালে সিন্ধি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়ে রণবীরের ঠাকুরদা-ঠাকুমা সুন্দর সিং ভাবনানি এবং অভিনেত্রী চাঁদ বার্ক মুম্বইয়ে চলে আসেন। অভিনেতার ঠাকুমা চাঁদ ছিলেন পাকিস্তানের স্বর্ণযুগের একজন খ্যাতনামা অভিনেত্রী। ঠাকুমার সেই প্যাশনকে আঁকড়ে রেখেই বলিউডে পা রাখেন রণবীর সিং। তবে কাকতালীয় বিষয় হচ্ছে, বক্স অফিস কাঁপানো 'ধুরন্ধর'-এর বিষয়বস্তুও করাচির প্রাচীন শহর লিয়ারির প্রেক্ষাপটে। যেখানে জসকিরত সিং রঙ্গী নামের এক শিখ সম্প্রদায়ের ছেলেকে নামবদলে ভারতীয় গুপ্তচর হিসেবে করাচিতে পাঠানো হয়। যে ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রণবীর সিং। অতঃপর এই সিনেমার সুবাদেই যে বিস্মৃতির আড়ালে থাকা শিকড় ছুঁয়েছেন অভিনেতা, তা বলাই বাহুল্য।
