সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৮ ঘণ্টার শিফট চেয়ে সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার বিরাগভাজন হন দীপিকা পাড়ুকোন। যার মাশুলও গুনতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। হাতছাড়া হয়েছে মেগাবাজেট দক্ষিণী সিনেমা। দীপিকা পাড়ুকোনকে 'অপেশাদার, ছদ্ম নারীবাদী' বলেও কটাক্ষ করেছিলেন 'অ্য়ানিম্যাল' পরিচালক। গোটা পঁচিশ সালজুড়ে সিনেদুনিয়ায় চর্চার শিরোনামে বিরাজ করেছে 'ভাঙ্গা বনাম দীপিকার স্পিরিট' বিতর্ক। তবে ভাঙ্গার চক্ষুশূলের তালিকায় অভিনেত্রী নাম লেখালেও তাঁর 'ধুরন্ধর' স্বামী রণবীর সিংয়ের প্রশংসায় কলম ধরলেন পরিচালক।
'ধুরন্ধর' রিলিজের পর অনেকেই এই সিনেমার সঙ্গে 'অ্য়ানিম্যাল'-এর মিল খুঁজে পেয়েছিলেন। এমনকী বলিউডের দুই রণবীরের হিংস্র অবতার আর পৌরুষের দাপটেও নারীবিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছিলেন অনেকে। যদিও সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি! 'ধুরন্ধর' অভিনেত্রী সৌম্যা ট্যান্ডন জোর আপত্তি তুলে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন কেন এই সিনেমা নারীবিদ্বেষী নয়। নাম না করেও 'অ্যানিম্যাল'কে কটাক্ষ করেছিলেন সৌম্যা। এবার সেই সিনেমার পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গাই 'ধুরন্ধর'-এর প্রশংসা করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, "ধুরন্ধর এমন একটা মানুষের গল্প বলে যে বেশি কথা বলে না এবং এই সিনেমা সত্যিই পুরুষালি মেরুদণ্ডের কথা বলে। চিত্রনাট্যটা যেমন স্পষ্ট, তেমনই কোনও অসঙ্গতি নেই। গান, অভিনয়, চিত্রনাট্য এবং পরিচালনা সবেতেই বাজিমাত করল ধুরন্ধর। অক্ষয় খান্না স্যর, রণবীর সিং চরিত্রগুলোর সঙ্গে মিশে গিয়েছেন। এরকম একটা সিনেমা উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।"
পালটা ভাঙ্গাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পরিচালক আদিত্য ধর। 'ধুরন্ধর' পরিচালকের মন্তব্য, "সন্দীপ তোমার কাছ থেকে এরকম প্রশংসা পাওয়া বড় বিষয়। সিনেমায় যেরকম নির্ভীক, পুরুষালি গল্প তুমি বলো, আমি সবসময়ে তার গুণমুগ্ধ। পরিচালক হিসেবে আমাদের দুজনের পথ আলাদা হলেও দেশের জন্য জোরদার সাহসী সিনেমা বানিয়ে আমরা দুই ভাইয়ের মতো এগিয়ে যাব। মনে রেখো, সিনেমা সাহসীদের মনে রাখে, তাঁদের নয়, যাঁরা হ্যাঁ-তে হ্যাঁ মেলায়।"
