সুপর্ণা মজুমদার: বিশ্বাস যাঁরা করেন, তাঁরা মানেন। তর্ক যুক্তি খোঁজে। যাঁর যুক্তি যেমন, তাঁর বিশ্বাস তেমন। ভূত নিয়ে নানা মুনির নানা মত। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta) কী মনে করেন? তেনাদের অস্তিত্ব কি সত্যিই রয়েছে? তিনি নিজে কখনও অনুভব করেছেন কোনও অশরীরীর উপস্থিতি? জানালেন সেকথা। একই সঙ্গে বললেন নিজের জীবনের ভূতের ইতিবৃত্ত।
জীবনে ভূত
ভূত কিন্তু 'পুরাতন' স্মৃতিও। এই স্মৃতি সারা জীবন মানুষের সঙ্গে থেকে যায়। ভালো হোক বা মন্দ, তা সঙ্গে নিয়েই বর্তমানকে চলতে হয়। কিছুতেই পিছু ছাড়ে না। আপনার জীবনে ভূত শব্দের অর্থ কী? প্রশ্ন শোনার সঙ্গে সঙ্গেই ঋতুপর্ণার উত্তর, "ভূত আমার কাছে সেই সমস্ত মুখোশ পরা ব্যক্তিসমূহ যারা চারপাশে মানুষের বেশে ঘুরে বেড়ায়।" অভিনেত্রী মনে করেন, আসলে মানুষের মুখোশের আড়ালেই অনেক জীবনের ভূত থাকে যাদের আপাতদৃষ্টিতে চেনা যায় না।
অশরীরীতে বিশ্বাস-অবিশ্বাস
ভূত মানে আবার ঋতুপর্ণার কাছে রহস্যও। যে রহস্য বোঝা বড় দায়। কেমন যেন এক ধোঁয়াশা থাকে। ঠিক যেন কুয়াশাচ্ছন্ন কোনও পাহাড়ের রহস্য। অভিনেত্রীর কথায়, "এই রহস্য বুঝতে পারি না। ধন্দ লাগে। তবে বেশ কিছু ঘটনা হয়েছে যেগুলো আমাকে খুব নাড়া দিয়েছে, আর অনেকের মুখে এমন অনেক অলৌকিক ঘটনা শুনেছি যেগুলো বিশ্বাসযোগ্য।"
ভয়!
এত জায়গায় শুটিং করছেন, দার্জিলিংয়ের একটি ঘটনা মনে পড়লে আজও যেন ঋতুপর্ণার অস্বস্তি হয়। কী হয়েছিল? অভিনেত্রীর কথায়, "শুটিং বেশ কয়েকদিনের ছিল। তাই দার্জিলিংয়ের একটা নামী হোটেলে উঠেছিলাম। সেখানেই রাতের দিকে সাংঘাতিক অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আচমকা মনে হল কেউ গলা চেপে ধরেছে, কিছুতেই ছাড়ছে না। খুব কষ্ট হচ্ছিল। তার পর আমার ১০৪ জ্বর। দুদিন কোনও হুঁশ ছিল না। শুটিং ক্যানসেল। তার পর চতুর্থ দিনে একটু ঠিক হয়েছিলাম। আমি ঘর পালটে ফেলি। আমার হেয়ার স্টাইলিস্ট ওই রুমে ছিল। তাঁরও একই অভিজ্ঞতা হয়। এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা সারা জীবনের সঙ্গী হয়ে গেল। পরে যখন গানের শুটিং করছিলাম আমি আর ইন্দ্রজিৎ বার বার মনে পড়ছিল। আমি বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম।"