সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ পাঁচটা বছর, একই চরিত্রের সঙ্গে সহবাস, চারটিখানি কথা নয়। শয়নে-স্বপনে শুধু 'বিনোদিনী'। বাংলার কিংবদন্তী থিয়েটার 'ক্যুইন'-এর চরিত্র আত্মস্থ করার জন্য বেজায় কসরতও করতে হয়েছে রুক্মিণী মৈত্রকে। আর সেই কঠোর পরিশ্রমের ফল তিনি হাতেনাতে টের পাচ্ছেন টিজার, ট্রেলার মুক্তির পর থেকে। আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে আসছে 'বিনোদিনী'। তার প্রাক্কালেই অভিনেত্রীর মুকুটে নতুন পালক। 'নটী বিনোদিনী'কে (Binodiini Ekti Natir Upakhyan) নিয়ে বিশেষ আলোচনাচক্রে ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় আমন্ত্রিত রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra)।
NSD-র তরফে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে গিয়েছে পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়ের কাছেও। ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা স্বাভাবিকভাবেই যে কোনও অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে তীর্থক্ষেত্র-সম। আর সেখান থেকেই আমন্ত্রণ পেয়ে সপ্তম স্বর্গে রুক্মিণী মৈত্র। প্রথমবার সেই পীঠস্থানে পা দেবেন তিনি। অভিনেত্রীর মন্তব্য, "যে কোনও অভিনেতার কাছেই ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা তীর্থস্থানের থেকে কম নয়। এনএসডি-র ছাত্র হওয়ার স্বপ্ন প্রতিটা অভিনেতাই দেখেন। যেহেতু 'বিনোদিনী- একটি নটীর উপাখ্যান' ছবিটি ভারতের প্রথম মহিলা থিয়েটার সুপারস্টারকে নিয়ে, তাই NSD-র পড়ুয়াদের সঙ্গে এই সফর নিয়ে আলোচনার করার সুযোগ পাওয়া ভীষণই সম্মানের।"
রুক্মিণীর সংযোজন, "পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকেই জানতে পারি যে নাট্যব্যক্তিত্ব সীমা বিশ্বাস ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার অডিটোরিয়ামে এক ইংরেজি নাটকে বিনোদিনী দাসীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। বিনোদিনীর এই উত্তরাধিকার এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে বড় একটা দায়িত্ব। আমার পরিচালক, প্রযোজকদের অসংখ্য ধন্যবাদ যে ওঁরা আমার উপর ভরসা রেখেছেন। আমার কাছে বিনোদিনী শুধু একটা সিনেমা নয়, নারী ক্ষমতায়নের জন্য একটা আন্দোলন।" রামকমলের (Ram Kamal Mukherjee) মন্তব্য, "NSD নাটকের পীঠস্থান। 'বিনোদিনী- একটি নটীর উপাখ্যান' টিম এবং আমার জন্যে এটা বড় সম্মানের। বিনোদিনী দাসী ছিলেন বাংলা থিয়েটারের একজন আইকনিক ব্যক্তিত্ব। তাঁকে নিয়ে যখন ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় বিশেষ আলোচনাচক্রের আয়োজন হচ্ছে, তখমন মনে হচ্ছে আমরা আমাদের ছবিটিকে নিয়ে ঠিক পথেই এগোচ্ছি।"
'নটী বিনোদিনী'র (Binodiini) চরিত্রে অভিনয় করার জন্য কড়া হোমওয়ার্ক করেছিলেন রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra)। ২০১৯ সালে যখন পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়ের তরফে এই সিনেমার জন্য প্রস্তাব পান, তখন থেকেই আদা জল খেয়ে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। নাচের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। নতুন নৃত্যশৈলী শিখতে হয়েছে তাঁকে। রুক্মিণীর সেই কড়া হোমওয়ার্কের ঝলক দেখা গিয়েছে 'কানহা' গানেও। ট্রেলার লঞ্চের দিনও দেব ফাঁস করেন, রুক্মিণী নাকি ঘুমের ঘোরেও হাতে নাচের মুদ্রা ফুটিয়ে তোলেন।