সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি দাবাং খান। তিনি বলিউডের বিন্দাস ভাইজান। তাঁকে ভয় দেখানো চাট্টিখানি কথা নয়। এই যেমন, লরেন্স বিষ্ণোইদের থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েও, ভাইজান কিন্তু দমেনি। বরং সব হুমকিকে ফুঁৎকারে উড়িয়ে সলমন এখন ব্যস্ত ছবির শুটিংয়ে। আর তাই তো পরিচালক রোহিত শেট্টির ডাকে সিংহম এগেন ছবিতে 'চুলবুল পাণ্ডে' অবতারে শুটিং সারলেন সলমন। সূত্রের খবর, শুটিং ফ্লোরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শুটিং করলেন তিনি। সলমনের জন্য নাকি বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছিলেন রোহিত শেট্টি ও তাঁর শুটিং টিম। সম্প্রতি সলমনের সঙ্গে শুটিংয়ে ছিলেন অজয় দেবগণ।
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই লরেন্স বিষ্ণোইর(Lawrence Bishnoi) নেতৃত্বাধীন বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সলমন খান। আতঙ্ক বাড়ে বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডের পর থেকে। বন্ধুর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন সলমন। এদিকে সুপারস্টারের নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই লরেন্স বিষ্ণোইকে হুমকি দিল ক্ষত্রিয় কর্ণি সেনা। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের প্রধানকে খুন করলে দেওয়া হবে বিশাল পুরস্কার। ভিডিও বার্তা দিয়ে জানালেন ক্ষত্রিয় কর্ণি সেনার(Karni Sena)জাতীয় সভাপতি রাজ শেখাওয়াত।
যদিও শেখাওয়াতের এই হুমকি সলমন খানের জন্য নয়। তাঁর দাবি, সমাজ কর্মী তথা শ্রী রাষ্ট্রীয় রাজপুত কর্ণি সেনার প্রেসিডেন্ট সুখদেব সিং গোগামেডিকে খুন করেছে লরেন্স বিষ্ণোইর গ্যাং। সেই কারণেই তিনি বলেন, যে পুলিশকর্মী লরেন্স বিষ্ণোইকে খুন করবেন তাঁকে এক কোটি ১১ লক্ষ ১১ হাজার ১১১ টাকা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে।
দশেরার দিন বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করা হয়। পূর্ব বান্দ্রায় বাজি ফাটাচ্ছিলেন এনসিপি (অজিত) নেতা। সেই সময়ই তার উপরে দুষ্কৃতীদের হামলা হয়। আচমকাই সেখানে হাজির হয় তিন দুষ্কৃতী। তারা লাগাতার গুলি চালাতে থাকে। গুলি ফুঁড়ে দেয় সিদ্দিকির শরীর। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় সিদ্দিকির। ঘটনায় একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বন্ধুর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন সলমন। এমনকী ‘বিগ বস’ শোয়ের ‘উইকেন্ড কা ভার’ এপিসোডে শিল্পা শিরোদকরের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ভাইজান জানান, তাঁর এই এপিসোড করার একেবারেই ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু কাজটা করতেই হোতো তাই ফ্লোরে এসেছেন। সলমনের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত সঙ্গীতশিল্পী অনুপ জালোটা। তিনি মনে করেন অন্যকিছু না ভেবে নিজের ও নিজের পরিবারের সুরক্ষার জন্য ভাইজানের উচিত বিষ্ণোইদের মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাওয়া।